ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার, চেয়ারম্যানের সিএনজি স্টেশন বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার, চেয়ারম্যানের সিএনজি স্টেশন বন্ধ

নোয়াখালী: অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করার অভিযোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বন্ধ করে দিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।  

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খন্দকার।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।  

রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শাহ আলম ।  

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের নোয়াখালী-কুমিল্লা ফোরলেন সড়কের পাশে অবস্থিত আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।   

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দল। অভিযানে আমিন ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মিটার খুলে নিয়ে যায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রতিনিধি দল।  

অপরদিকে উপজেলার একমাত্র সিএনজি ফিলিং স্টেশন আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন। এই সিএনজি স্টেশনটি গত তিনদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকায় সিএনজি চালিত পরিবহনের মালিকদের।

ডিজিএম কার্যালয় সূত্র জানায়, অভিযানে প্রায় ১৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের নেতৃত্ব দেয় ভিজিল্যান্স টিম। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সেলস ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা। ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের লক্ষণ দেখে লাইন কেটে দিয়েছে।  

এরপর গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে মিটার হেড অফিসে নিয়ে যায়। হেড অফিসে একটি কমিটি রয়েছে যারা মিটারগুলো চেক করেন। মিটার চেক করে পরবর্তীতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফিলিং স্টেশনটির মালিক সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

তবে তিনি আরেক গণমাধ্যম কর্মীর কাছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের আলামত পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ সংযোগ নেই। এমন একটি ফোন রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।