ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ইলিশা কূপে আনুষ্ঠানিক গ্যাস উত্তোলনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
ইলিশা কূপে আনুষ্ঠানিক গ্যাস উত্তোলনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ভোলা: ভোলার ইলিশা-১ নম্বর কূপে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন নিশ্চিত করতে শেষ ধাপের ড্রিলিং স্ট্রিম টেস্ট (ডিএসটি) শুরু করেছে বাপেক্স।

সোমবার (১৫ মে) সকাল থেকে এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে তারা।

এর আগে এ কূপে দুটি স্তরের পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে গ্যাস মজুত থাকার বিষয়টি। এখন তৃতীয় স্তরের ডিএসটি সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হবে। সেটি এখন কবে নাগাদ শুরু হবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের দিকে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এ বছরের ৯ মার্চ ভোলার ইলিশা-১ কূপ খনন করে বাপেক্সে। রাষ্ট্রীয় এ সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাসপ্রোম এ খনন কাজ সম্পন্নের পর এখন চলছে কূপটিতে ডিএসটি কার্যক্রম। দুটি ধাপে দুই স্তরের ডিএসটি সম্পন্নের পরে আজ তৃতীয় ধাপের সেই কার্যক্রম সকাল থেকে শুরু হওয়ার পর আগামী ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষায় গ্যাস মজুদ, উৎপাদন এবং উত্তোলন সম্পর্কে নিশ্চিত হবে বাপেক্স।  

বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ কূপে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।

এদিকে একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে তারা।

বাপেক্স বলছে, ইলিশা-১ কূপ একটি আলাদা গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে, যা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। সব ঠিক থাকলে ভোলার ৯টি কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭ টিসিএফ।
১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।