ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউরোপে অক্সফোর্ডের টিকা ২.৭ ডলার: ড. মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
ইউরোপে অক্সফোর্ডের টিকা ২.৭ ডলার: ড. মোশাররফ ...

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ইউরোপে অক্সফোর্ডের টিকা ২.৭ ডলারে বিক্রি হচ্ছে অথচ আমরা কিনছি ৫ ডলারে। আবার কেউ কেউ বলছে ৫ ডলার হলো সেরাম ইনস্টিটিউটের দাম, এর বাইরে বেক্সিমকোর কমিশন আছে।

এটা কিন্তু আমরা সঠিক জানি না।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
ড. মোশাররফ গার্ডিয়ান পত্রিকার উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, এই অক্সফোর্ডের টিকাই ইউরোপে ২.৭ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, আর আমরা ৫ ডলারে কিনছি। অতএব এখানে নেগোশিয়েশনের ব্যাপার আছে। সরকার বলছে, এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করায় তাড়াতাড়ি টিকা পাচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে ইউরোপের সবদেশে, চীনে-রাশিয়ায়, আমেরিকায় যে ১৫ দিন আগে থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, তারা টিকা কোথায় পেলো? আসলে তারা সরাসরি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে অগ্রিম বুকিং দিয়েছে। আমাদের সরকার তাদের অদূরদর্শিতাকে চাপা দেওয়ার জন্য এসব বলছে। যেভাবে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন মন্ত্রী বিভিন্ন রকম কথাবার্তা বলেছেন। এই ভ্যাকসিন নিয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক রকম বলেছেন, চুক্তিতে আর এক রকম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক রকম বলছেন। কোনদিন পাওয়া যাবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, জানুয়ারিতে পাওয়া যাবে। তারপর বলেছেন, ফেব্রুয়ারি এখন বলছেন মার্চ-এপ্রিল। যেহেতু তারা স্বচ্ছ না, সেজন্য এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন।

টিকা কারা পাবে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোশাররফ সরকারের করা তালিকা তুলে ধরে বলেন, তারা তালিকা করেছে প্রথম ধাপে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পাবে এটা ঠিক আছে। তারপরে পাবে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, সামরিক আধা-সামরিক, প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্মি-নেভি-এয়ারফোর্স। দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে জেলা প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী। তালিকায় এরপরে আছে জনপ্রতিনিধি। ৭৮ হাজার ২৯৮ জন সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ইত্যাদি ও তাদের কর্মচারী। পরের তালিকায় আছে ইমাম, মোয়াজ্জিন, চার্চ, মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির অন্যান্য উপাসনালয়ের ধর্মীয় পেশাজীবীরা।
এর পরের পর্যায়ে আছে বয়োজেষ্ঠ্য ষাটোর্ধ্ব, এটা অনেক পেছনে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে অসুস্থ এবং বয়োজেষ্ঠ্যরা। এরপরে স্বাস্থ্যকর্মী যারা ফ্রন্ট লাইনার। এই সরকারের তালিকা করার যে প্রক্রিয়া তাতে দলীয় লোকেরা পাবে, সাধারণ জনগণের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছাবে না।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এমএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।