ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রচার, বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রচার, বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র ও নেতিবাচক প্রচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু যদি না হয় সে জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

পদ্মা সেতু কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়—  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু অবশ্যই একটি রাষ্ট্রীয় সস্পদ। এই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সময়োপযোগী পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের। সে জন্য পদ্মা সেতু আজকে দৃশ্যমান। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আজ পদ্মা নদীর দুই পাড় যুক্ত হয়েছে। সেতুর কাজ আজ সস্পন্ন হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তিনি বলেছিলেন—  আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ যদি জোড়াতালি দিয়ে সেতু বানায়ও সেই সেতু দিয়ে কেউ যাবে না। সেজন্যই আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম বিএনপি কি এখন সেতুর উপর দিয়ে যাবে না কি নিচে দিয়ে যাবে? ফখরুল সাহেবের কথায় বোঝা যায় তারা সেতুর উপর দিয়ে যাবেন। তবে তার আগে তাদের সরকারকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও নেতিবাচক প্রচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আজকে পদ্মা সেতু রাষ্ট্রের সস্পত্তি হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।

এর আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সাক্ষাৎ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মূলত বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক বিষেশ করে রপ্তানিসহ সোস্যাল মিডিয়ার কারণে আইপিটিভি-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে গুজব রটে ইউরোপে সেগুলো আমাদের দেশেও ঘটে। এজন্য সেখানে কী ধরনের আইন রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স আমাদের তথ্য-প্রযুক্তি খাত ও মিডিয়া খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

মিডিয়া খাতে ফ্রান্স কী ধরনের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী— এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কী করতে চায় সে বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে ফ্রান্সকে। সার্বিকভাবে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।