ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জমে উঠেছে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
জমে উঠেছে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণা ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা

ময়মনসিংহ: জমে উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটারদের মন জয়ে রাত-দিন প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী প্যানেলের আইনজীবীরা।

জানা যায়, ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি। আগামী ২৮ জানুয়ারি (রোববার) দেশের প্রচীনতম এ সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৮৪২ জন ভোটার।

এ নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে ১৫টি পদের বিপরীতে মোট ৩০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে সভাপতি পদে মো. জালাল উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে সৌম্যেন্দ্র কিশোর চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

বিপরীতে বিএনপিপন্থী সমন্বিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. মীর মিজানুর রহমান।  

সূত্র মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের পর থেকে এ সমিতির নেতৃত্বে ছিল আওয়ামীপন্থিরা। কিন্তু মাঝপথে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী প্রয়াত এএফএম নজমুল হুদার হাত ধরে এ সমিতির নেতৃত্বে ভাগ বসায় বিএনপি।

এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়াত নজমুল হুদার অনুসারী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল হকের নেতৃত্বে বিগত তিনটি নির্বাচনে সমিতির মূল নেতৃত্বে আসে বিএনপিপন্থিরা। মূলত নেতৃত্বে থাকাকালীন সময়ে সমিতির দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে চমক সৃষ্টি করেন তারা। আর এ কারণে আইজীবীদের গোপন ভোটে এবারো জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বিএনপিপন্থিরা।

তবে অতীতের গ্রুপিং-কোন্দাল পেছনে ফেলে হারানো নেতৃত্ব পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা।  

সূত্র জানায়, ১৩৭ বছরে এ সমিতির মোট মূলধন ছিলো মাত্র এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্বচ্ছতামূলক জবাবদিহিতার কারণে এ মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। বিএনপিপন্থী আইনজীবী সমিতির নেতাদের হাত ধরেই এমনটি সম্ভব হওয়ায় টানা ৩ বছর সমিতির মূল নেতৃত্বে জয়ী হয়েছেন তারা।  

টানা দু’বার নির্বাচিত এ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অড্যাভোকেট নূরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সমন্বিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ স্বচ্ছতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। এ কারনেই এবারও বিজয়ের বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী।  

তবে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের হাত ধরেই এ সমিতির উন্নয়ন সূচিত হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামীপন্থিরা।

এসব বিষয়ে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী অড্যাভোকেট জালাল উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, সমিতির সমস্ত অর্জনই সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে হয়েছে। বেনাবোলেন ফান্ড গঠন থেকে শুরু করে ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ভবন নির্মিত হয়েছে এ প্যানেলের হাত ধরেই।

সর্বশেষ সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের হস্থক্ষেপে সরকারি অর্থায়নে ৭তলা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবন নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে।  

উন্নয়নের স্বার্থেই আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান অড্যাভোকেট জালাল উদ্দিন খান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮ 
এমএএএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।