ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাসিকে কি হচ্ছে বিএনপি-আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহার?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষ থেকে ভোটারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। এই ইশতেহারে থাকবে ভোটারদের জন্য নির্বাচিত হলে তিনি কি কি কাজ করবেন তার একটি খসড়া প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করেই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে অনেকে ভোট দেবেন। আবার নির্বাচিত হলে প্রার্থী কি কি কাজ করবেন তারও একটি ধারণা পাবেন ভোটাররা।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষ থেকে ভোটারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। এই ইশতেহারে থাকবে ভোটারদের জন্য নির্বাচিত হলে তিনি কি কি কাজ করবেন তার একটি খসড়া প্রতিশ্রুতি।

এই প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করেই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে অনেকে ভোট দেবেন। আবার নির্বাচিত হলে প্রার্থী কি কি কাজ করবেন তারও একটি ধারণা পাবেন ভোটাররা।

এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী ফ্যাসিবাদের রক্ষা হবে না। তাই নারায়ণগঞ্জের সকল ভোটারদের অনুরোধ করবো আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন, নির্বাচনে আপনাদের রায় দিন। বিরোধী মতের নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষকে যারা হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের রায় দিন। ’

তিনি বলেন,  নারায়ণগঞ্জে একটা মেডিকেল কলেজ নেই, একটা বিশ্ববিদ্যালয় নেই, বর্তমানে যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে, একটা ভালো রাস্তা নেই, আগের রাস্তাতেই পিচ ঢালাই করা হয়েছে, ড্রেনেজ অবস্থা খারাপ। একটু বৃষ্টি হলেই নগরবাসী ডুবে যায়। আমি চাই নগরবাসীকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে। আমাকে সুযোগ দিলে আমি নগরবাসীর জন্য কাজ করবো।

এর মধ্যে গত সোমবার তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর খেয়া ঘাটে গিয়ে সাধারণ মানুষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে বলেছেন ‘যদি আমি নির্বাচিত হই তবে কষ্ট হলেও শীতলক্ষ্যা নদীর উপর একটা সেতু করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। তরুণদের জন্য বেশি বেশি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করবো। ’

তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারের চেয়ে এবারের নির্বাচনে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য যে মুখিয়ে আছে তা প্রমাণের জন্য ধানের শীষে ভোট দিয়ে এই সরকার ও তাদের অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে রায় জানিয়ে দেবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন। যদি আমাদের সাধারণ জনগণ কোন বাধা ছাড়াই নিজেদের রায় দিতে পারে তবে অবশ্যই ধানের শীষের বিজয় হবে।

অপরদিকে নির্বাচনে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও নতুন নতুন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করাকে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষ থেকে ভোটারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার।

আইভী প্রথমত চাইবেন তার ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে ফায়দা হাসিল করার। তবে নিজের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন চলমান কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও নতুন নতুন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করাকে প্রাধান্য দিয়েই এবারের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছেন আইভী।

এ বিষয়ে আইভী বলেন, গতবার নির্দলীয় নির্বাচন ছিল। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। আমি মনে করি এ নির্বাচনটা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সেহেতু প্রতীকের কারণে সেভাবে প্রভাব পড়ার কথা নয়। এখানে একটা ব্যক্তির পরিবর্তন হচ্ছে, ক্ষমতার পরিবর্তন হচ্ছে না। সুতরাং আমি মনে করি যে এ নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির কোনো প্রভাব পড়বে না।

আইভী বলেন, গত ৫ বছর সিটি করপোরেশনে কাজ করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি তার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন। আমি প্রতিটি মুহূর্ত চেষ্টা করেছি। গত ৫ বছরে ৬০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের মধ্যে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন। বাকিটা সরকারসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া। বিগত দিনে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার সব হিসাব নগর ভবনে রয়েছে। আমি আশাবাদী মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দেবে।

নির্বাচনী ইশতেহারের চেয়ে মানুষ বিগত দিনে আমার কাজকে মূল্যায়ন করেই আগামীতে আইভীকে জয়ী করবে বলেই তিনি মনে করেন। তাই বিগত দিনে তার সকল উন্নয়নমূলক কাজকে আবারো একনজরে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।