ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দেশে ধর্ষণ দৈনন্দিন ঘটনায় রূপ নিয়েছে’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
‘দেশে ধর্ষণ দৈনন্দিন ঘটনায় রূপ নিয়েছে’

ঢাকা: দেশে ধর্ষণ দৈনন্দিন ঘটনায় রূপ নিয়েছে। মাগুরায় ৮ বছরের শিশুও শকুনের থাবা থেকে রেহাই পায়নি।

সরকারকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে  আয়োজিত এক সমাবশে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির জৈষ্ঠ্য যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বক্তব্য রাখেন।

সারজিস আলম বলেন, জাতি হিসেবে আমরা বেশ কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মা-বোনরা যতটুকু নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীরা সামনের সারিতে ছিল। তাদের উপস্থিতি আমাদের সাহস জোগাতো। রাজপথে থাকা অবস্থায় নারীদের প্রতি সবার সমর্থন ছিল। যখনই তারা রাজনীতিতে আসতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অপ্রচার শুরু হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আজ ঢাকা মেডিকেলে মাগুরার শিশু আসিয়া সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শিশু হয়েও শকুনের থাবা থেকে সে নিস্তার পায়নি।

নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নারীর নিরাপত্তার সঙ্গে নাগরিক নিরাপত্তা জড়িত। গত ৫৩ বছরে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো কাজ করা হয়নি। একটি আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকের যে মর্যাদা নিশ্চিত করার কথা তা কখনো নিশ্চিত হয়নি। অভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপ হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের অসংযত হতে বাধ্য করবেন না। আইনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। কোনো ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ আইন দিয়ে এটি করা যাবে না। অভ্যুত্থানের নারীদের ভূমিকা অস্বীকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নারী নেতৃত্ব তৈরির জন্য সংরক্ষিত আসন আর কোনো ভূমিকা রাখবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীরা নির্বাচিত হবে। সমাজে এবং রাষ্ট্রের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা কখনো নারী দিবস ভালো মনে পালন করতে পারি না। দেশে ধর্ষণ দৈনন্দিন ঘটনায় রূপ নিয়েছে। ধর্ষণ যেন রাস্তাঘাটে বাচ্চাদের মারামারি। এনসিপি নারীর সকল নাগরিক এবং মানবিক মর্যাদা শিকার করে। পাশাপাশি সমান অধিকার নিশ্চিতে কাজ করবে। সামনের দিনেও এনসিপি গুরুত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করে যাবে। যারা সহিংসতার শিকার হয়েছে এনসিপি তাদের বিচার দাবি করবে। এ সরকারের উচিত ধর্ষকদের প্রকাশ্যে বিচার নিশ্চিত করা। আগামীর বাংলাদেশে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতই হবে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
এফএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।