ফরিদপুর: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বুধবার সকালে ইব্রাহিম ও জিন্নাহর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে হামলা পাল্টা হামলা চালিয়ে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ও ১০ দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ জন আহত হলে তাদের নগরকান্দা-ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাদরাসা বাজারে আমার ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জিন্নাহর শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসা বাজারে এসে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করেন। এ সময় আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু পরদিন বুধবার সকালে আবারও জিন্নাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। তখন আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে তারা পালিয়ে যান। এ সময় উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তবে কোনো লুটপাট হয়নি।
উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এসআরএস