ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংস্কারে দীর্ঘ সময় নিলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা সময় পেয়ে যাবে: পরওয়ার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
সংস্কারে দীর্ঘ সময় নিলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা সময় পেয়ে যাবে: পরওয়ার

মানিকগঞ্জ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আপনারাতো অন্তর্বর্তী সরকার, আপনারা তো দেশ শাসন করতে আসেননি। সংস্কার কাজে বেশি সময় নেওয়া যাবে না।

সংস্কারে দীর্ঘ সময় নিলে ফের খুনের মাস্টার মাইন্ড ও ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা সময় পেয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা এসেছেন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটা ক্রেডিবল, ফ্রি-ফেয়ার, একটা ইনক্লুসিভ, একটা পার্টিসিপেটরি ইলেকশন আপনারা নিশ্চিত করবেন। সেটা করার জন্য যেসব অর্গানগুলো রিফর্ম করা লাগে, সংস্কার করা লাগে ন্যূনতম সে সংস্কারগুলো আপনারা করেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বিজয় মেলার মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেমন পুলিশ প্রশাসনকে সংস্কার করতে হবে, সিভিল প্রশাসন সংস্কার করতে হবে, ইলেকশন কমিশনকে সংস্কার করতে হবে, জুডিসিয়ারিকে সংস্কার করতে হবে, এ গুলো ৫-৬টি সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ করতে হবে।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ৫ আগস্টের পরও বিভিন্নভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একের পর এক চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। শহীদ শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত অর্গানগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দলীয়করণ হয়ে গেছে। এগুলোর সংস্কার জরুরি। আমাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে বিভিন্ন সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। আমরা একের পর এক এসব প্রস্তাবনা দিয়ে যাচ্ছি। ডিসেম্বরের পর সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন। কেননা ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে বসে আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন সচিবালয়ে যাই, ডিসি-এসপি-ইউএনও-ওসি-এসআই, কোর্টে যাই বিচারকদের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট জজ-জাস্টিসসহ অনেকের সঙ্গে কথা বললে বুঝা যায়, তাদের কথা থেকে ফ্যাসিবাদের গন্ধ বের হয় এখনো। এ প্রশাসন, এদেরকে এখানে রাখবেন, আর এভাবে আবার আপনি নির্বাচন দিলে, ১৪,১৮ এবং ২৪ সালের নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন,  আমরা ইলেকশন কমিশনকে বলবো যত দ্রুত সম্ভব আপনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, প্রশাসনের বাকি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করুন। প্রশাসন যন্ত্রের রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে এই জ্বরাক্রান্ত প্রশাসনকে আপনি জ্বর মুক্ত করুন, সংক্রমণমুক্ত করুন। একই সঙ্গে দলীয়করণ মুক্ত করুন, দুর্নীতি থেকে মুক্ত করুন তখন জনগণই বলবে দিস ইজ দ্য প্রপার টাইম টু ইলেকশন, নির্বাচনের উপযুক্ত সময় হয়ে গেছে।

জেলা জামায়াতে ইসলামী’র হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি মাওলানা মো. নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক (ঢাকা উত্তর অঞ্চল) অধ্যক্ষ মুহাম্মদ উজ্জত উল্লাহ, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।