ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে: আমিনুল হক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে: আমিনুল হক 

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সেক্টরে এমনভাবে রাজনীতিকরণ ও দলীয়করণ করেছে যে, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।  

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে  রাজধানীর উত্তরখানে এক দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, আমরা আর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করতে পেরেছে বাংলাদেশের মানুষ।

তিনি বলেন, আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধ দেখেনি বা এই নতুন প্রজন্মের যারা ছাত্র-জনতা যারা যুদ্ধ দেখেনি, আমরা এখন বুঝতে পারছি স্বাধীনতার মর্ম কতটুকু, এর মূল্যই বা কতটুকু।  

বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার  হাসিনার সরকারের পতনের পরে আজকে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে,আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আর কোনো মানবাধিকার লুণ্ঠিত হোক সেটা দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হোক, দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক,সেই সরকার বাংলাদেশের জনগণের কথা মতো চলবে।  

দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু ষড়যন্ত্রকারী প্রেতাত্মারা আপনাদের অনেককে ঢাল বানিয়ে এখন নব্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যারাই এই ধরনের নব্য বিএনপিকে সুযোগ করে দেবেন, তাদের বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে না বা যোগ্যতা থাকবে না।  

দলের পদধারী হয়েও বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলেন না, কিন্তু যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের চেয়ে এখন তারাই বেশি অ্যাকটিভ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, যারা মাঠে কাজ করেনি তারা এখন বেশি সিরিয়াস, আমরা এই বিষয়টি খেয়াল রাখছি।  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত উত্তরখান থানার ৪৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের রহমানসহ শহীদ ছাত্র-জনতার রুহের মাগফেরাত কামনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

দোয়া মাহফিলে নিহত জুবায়ের রহমানের বাবা সবুর বেপারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন। আমিনুল হক তার বক্তব্য শোনেন এবং শহীদ জুবায়েরসহ সদ্য গণ-আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।  

এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা মহানগর সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আখতার হোসেন, হাজী মোস্তফা জামান, শহীদ জুবায়ের পিতা সবুর বেপারী, 

মহানগর সাবেক সদস্য আহসান হাবিব মোল্লা,হাজী মো. ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম,জাহাঙ্গীর মোল্লা,মোজাম্মেল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
টিএ/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।