ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবি পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবি পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কিছু যায় আসে না। তার সকল অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে, মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে। ডামি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেলে বিরোধী শক্তিসহ গণতন্ত্র স্বীকৃত নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিহ্ন করা যায়। আর আইন-আদালত প্রবল প্রতাপশালী একনায়কের ‘নির্দেশপত্র’ মোতাবেক চলে, যেমনভাবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নিজের মামলাগুলোকে নিরুদ্দেশ করেছেন। বিরোধী দলকে দমনের বিপুল প্রচেষ্টা সার্থক করতে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ধারাবাহিক খুনের এক ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাতাবরণ তৈরি করা হয়। সুষ্ঠু ভোট, নির্বাচন, ভোটাধিকার কবরে শায়িত থাকে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমান ডামি সরকারের ‘অভিন্নহৃদয় বড় বন্ধু’ হচ্ছে পাশ্বিবর্তী দেশ ভারত। মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা তাদের দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী নিপীড়ক সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। বিএসএফের রক্তপিপাসু ভূমিকায় সারা জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উৎকণ্ঠিত। বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। তাদের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আসকারা পাচ্ছে। গতকালও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যেন নির্যাতন আর মৃত্যুর নির্মম খড়গ। তাদের মনে নিত্য জেগে রয়েছে কেবল হত্যার উল্লাস।

তিনি বলেন, দখলদার আওয়ামী সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফের বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে পারেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হাসান মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে এবং তার পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানান রিজভী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।