ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে: ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে দুর্ভাগ্য যে, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন করে তারা একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।  

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকামী অনেক তরুণ-যুবককে তারা হত্যা করেছে। এমনকি তাদের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পুলিশ অনেকের বাড়িতে রেইড দিয়েছে। কাউকে না পেয়ে অনেকের স্ত্রী, বোন, মা কিংবা সন্তানকে তুলে নিয়ে গেছে। তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আজকে কারও মনে কিন্তু হাসি নেই। একে একে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। অনেককে সাজা দিয়ে তারা সর্বস্বান্ত করেছে।  

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা, কারা-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ।  

অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী আ ন হ আকতার হোসেন প্রমুখ।
 
ফখরুল বলেন, আমাদের যে ভাইয়েরা, সহযোদ্ধারা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন আমরা তাদের গৌরবের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, যেখানে তারা ন্যায়বিচার পাবেন। আজ কত শিশু তার বাবাকে ভিক্ষা চায়। তবে মজলুমের অশ্রুধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না।  

তিনি বলেন, যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষের মনে আশা জেগেছিল যে, এবার বোধহয় কিছু একটা হবে। কিন্তু ভয়াবহ দানবীয় নির্যাতনে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমরা হয়তো থেমে গেছি। তবে আমাদের ভেতরে আগুন জ্বলছে। আমরা যে লক্ষ্যে মাঠে নেমেছি তা হলো, দেশমাতৃকাকে রক্ষা করা। অন্যায়কে পরাভূত করে অধিকার আদায় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব। আমরা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।  

তিনি আরও বলেন, সরকারের অপকীর্তির কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ। দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র সব ধ্বংস করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব খাত ধ্বংস করেছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ একাধিপত্য ও ভয়াবহ রাজত্ব চালাচ্ছে। এখন বুয়েট বাকি আছে। সেখানেও হিংস্র থাবা বসিয়েছে। অথচ বুয়েটে কিছুটা হলেও জ্ঞানের চর্চা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্ত অরক্ষিত। বান্দরবানে অস্ত্র ও ব্যাংক লুট হয়েছে। কিন্তু সরকার স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কারা এর সঙ্গে জড়িত। যখন কোনো দোষ চাপাতে হয়, তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে। এতে প্রমাণিত হয়, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতোটা ভঙ্গুর। তারা আজ দেশের পানি সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা নিরসন করতে পারেনি। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। দেশের প্রয়োজনে আবারও তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মো. আবদুল মতিন খান, প্রকৌশলী মো. হানিফ এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।