ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সালথায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার জনসভায় মানুষের ঢল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
সালথায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার জনসভায় মানুষের ঢল

ফরিদপুর: ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার নির্বাচনী জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর থেকে সালথা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের হাজারো নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। এক পর্যায়ে জনসভাস্থল স্কুল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় ঈগল প্রতীকের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জনসভাস্থলসহ আশপাশের পুরো এলাকা। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।

জনসভায় উপস্থিত নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছে নিজের ঈগল প্রতীক মার্কায় ভোট চেয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আপনারা আমার প্রিয় জনগণ। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পরিবার জীবনভর মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। এখনো মানুষের সেবায় কাজ করছে। জন্মের পর থেকে আমিও অসহায়-নির্যাতিত মানুষের সেবা করে আসছি। বিনিময়ে আপনাদের কাছে কিচ্ছু চাইনি। শুধু ঈগল প্রতীকে একটি ভোট চাই। আপনারা আমাকে ভোট ভিক্ষা দিয়ে বিজয়ী করুন। আমি সারাজীবন আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবো।

তিনি আরও বলেন, (নৌকার প্রার্থী) লাবু চৌধুরী মামা বাহিনী গঠন করে সালথা-নগরকান্দায় আমার নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে আসছেন। মামা বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আমি নির্বাচিত হলে মামা বাহিনী, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতিবাজ কিছুই থাকবে না। আজকের জনসভা প্রমাণ করে মানুষের মধ্যে কী পরিমাণ ক্ষোভ রয়েছে। জনসভায় লাখো মানুষ ঈগলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসেছেন। আশা করি আগামী ৭ তারিখে এ জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে।

জামাল হোসেন মিয়া বলেন, নির্বাচনে কারা নাকি ভোট কাটতে চায়। আমি প্রিয় জনগণের উদ্দেশে বলি, কেউ যদি ভোট কাটতে আসে- আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, আপনারা যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। ভোটকেন্দ্র রক্ষা করবেন।  

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহিদুজ্জামান শাহিদ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল হাসান খান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, আনোয়ার হোসেন মিয়া, মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফছার মাতুব্বর, সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু, রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইশারত হোসেন, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. লেবু মোল্যা প্রমুখ।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

জনসভায় বক্তারা বলেন, ফরিদপুর-২ আসনে আমরা পরিবর্তন চাই। জননেতা অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার হাত ধরে সেই পরিবর্তন ঘটানো হবে। আমরা অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আর নির্যাতনের শিকার হতে চাই না। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে জামাল মিয়াকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে ঘরে ফিরবো-ইনশাল্লাহ।  

২০২১ সালের নভেম্বরে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তার ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি এ আসনের নৌকার প্রার্থী। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জামাল হোসেন মিয়া। এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়াও বটগাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।