ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে: প্রিন্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
সরকার দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে: প্রিন্স

ঢাকা: সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।  

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির উদ্যোগে একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে সর্বাত্মক নিরব প্রতিবাদ জানাবে দেশের সাধারণ মানুষ।

সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন, অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, ফজলুর রহমান, নিমাই গাঙ্গুলী, হাসান তারিক চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে সিপিবি নেতারা বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে চরম ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বন্দি দিয়ে সারা দেশের কারাগারগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। দেশ এক ভীতি ও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে আছে। আমদানি বিল পরিশোধ ও রপ্তানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এমনকি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছে। তবুও সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দমন ও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পুনরায় ক্ষমতায় থাকার খেসারত যদি দেশের মানুষকে দিতে হয় তার পরিণতির দায়-দায়িত্বও শেখ হাসিনাকে নিতে হবে। ’

নেতারা দেশের সব গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও শক্তিকে রাজপথের লড়াইয়ে সামিল হয়ে মানুষের হারানো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।

সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, পল্টন লাইন, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।