ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্র মঞ্চের ‘লাল কার্ড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্র মঞ্চের ‘লাল কার্ড’

ঢাকা: একতরফা ভোট বয়কট করুন—এই আহ্বানে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ ও গণমিছিল এবং নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড প্রদর্শনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম হয়ে আবারো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি বেগম তানিয়া রব। সভাটি পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ এর মধ্যরাতের নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে দেয়নি। আজকে ২০২৩ সালে এসে একতরফা নির্বাচনকে যখন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে তখন সরকার নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন সহায়তাকারী প্রকল্পের সুবিধা বাতিল করার হুমকি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসতে চায়।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, এই সরকার, যারা লুটপাট ও পাচারের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের মানুষকে খুন করতে দ্বিধা করে না; তাদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ হতে পারে না। অবিলম্বে সংবিধানের ১২৩(৩)এর(খ) অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে, সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রাতের বেলা ভোট করার ভেতর দিয়ে সারা দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশের মুখে চুনকালি মাখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে একারণে দেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। এরা দেশের রাজনীতির নীতি-আদর্শগুলো ধ্বংস করেছে এবং সামাজিক আচার-নিয়ম ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি দায়ী। আওয়ামী লীগ ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। ওরা হয়তো জানে, মানুষের আদালতে যাদের বিচার হয়েছে ইতিহাসে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সরকার জোর করে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আনতে চায় মন্তব্য করে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, এদেরকে লালকার্ড প্রদর্শন করুন, ৭ জানুয়ারি যা হচ্ছে তা নির্বাচন নয়। যেখানে বিরোধী দল নাই সেটা ভোট হতে পারে না। সরকার কোনো প্রার্থীকে বা কেন্দ্রে কেন্দ্রে কাকে কত ভোট দেওয়া হবে তার তলিকা তৈরি করছে। দেশে এ মুহূর্তে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে মানুষ লাল কার্ড দেখাচ্ছে। এরপর বিদেশিরাও লাল কার্ড দেখাবে। আমরা রাজপথে আছি। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।