ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

মানববন্ধনে না থেকেও বক্তা মুক্তাদির, বিএনপিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
মানববন্ধনে না থেকেও বক্তা মুক্তাদির, বিএনপিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সিলেট: নেতা উপস্থিত না থাকলেও বক্তৃতায় তার নাম দেখানো হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও সে নাম লেখা হয়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সিলেট বিএনপির আয়োজিত মানববন্ধনে এমনটাই ঘটল।  

যেখানে উপস্থিত ছিলেন না বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। যদিও বক্তৃতায় তার নাম দেখানো হয়েছে।  

এ ঘটনায় তা দেখে বিস্মিত মানববন্ধনে উপস্থিত থাকা নেতাকর্মীরা। দলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার দেখা দিয়েছে।  

মানববন্ধনের পর এদিন বেলা ৪টা ৪ মিনিটে সিলেট জেলা বিএনপির অফিসিয়াল ই-মেইল থেকে সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান। এতে বক্তৃতায় অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের নাম দেওয়া হয়েছে।  

এতেই ঘটে বিপত্তি। তাতে অতিথি ‘জালিয়াতির’ অভিযোগ উঠেছে। কারণ, অনুষ্ঠানস্থলে না থেকে তিনি হয়েছেন বক্তা।

নগরের সুরমা মার্কেট পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি করার কথা ছিল সিলেট বিএনপির। কিন্তু পুলিশি বাধায় আদালত পাড়ায় গিয়ে মানববন্ধন সফল করে সিলেট বিএনপি।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানবন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। কেবল দেখা মিলেনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের।  

মানববন্ধনের উপস্থিত নেতাকর্মীদের কয়েকজন এবং গণমাধ্যমের কর্মীরাও নাম প্রকাশ  না করার শর্তে বলেন, ‘খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির মানববন্ধনে উপস্থিতই ছিলেন না। তাকে তো অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে কোথাও দেখা যায়নি। তাহলে তিনি বক্তব্য রাখলেন কীভাবে?’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন না। আমি সুরমা মার্কেট পয়েন্টে থেকে আদালত চত্বরে জেলা ও মহানগর বিএনপির মানববন্ধনে যোগ দেই। আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি। পুরোটা সময় কোথাও তাকে দেখিনি। ’

জেলা বিএনপির এ ধরনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর খবরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা তো রীতিমতো রাজনৈতিক জালিয়াতি। এটা তো সাংঘাতিক ঘটনা। এটা রাজনীতির জন্যও খুব ক্ষতিকারক। ’

তবে খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসেছিলেন, দাবি করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।  

তিনি বলেন, খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির কর্মসূচিস্থলের পাশেই ছিলেন। মানববন্ধন পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পুলিশ এসে মৌখিক বাধা দেয়। যে কারণে আদালত চত্বরে গিয়ে মানববন্ধন করতে হয়েছে। আদালত চত্বর থেকে তাকে অ্যাডভোকেট আনোয়ার বাসায় দিয়ে যান।  

মানববন্ধনে খন্দকার মুক্তাদির বক্তব্য দিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ বাধায় তাকে ফেরত যেতে হয়েছে। মূলত; যারা দল করেন, দলীয় ডাকা অবরোধে গাড়িতে চড়েন, সেসব নেতারা এমন নেতিবাচক কথা বলছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।