ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমাদের শাসনতন্ত্রে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই: মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৩
আমাদের শাসনতন্ত্রে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই: মোমেন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের শাসনতন্ত্রে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (৮ অক্টোবর) সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দুনিয়ায় যেভাবে নির্বাচন হয় শাসনতন্ত্র মেনে, আমরা সেভাবে নির্বাচন করব। আমাদের শাসনতন্ত্রে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই।

পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এরা সবাই অত্যন্ত পরিপক্ব লোক। এরা আসছেন একটা অবাধ নির্বাচন অ্যাসেসমেন্ট করতে। তারা জানতে আসছেন, একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমরা কি কি কাজ করেছি। তাদের নিজেদের কোনো মতামত নেই। তারা শুধু জানতে চেয়েছেন, কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি, আমাদের এ সমস্ত দেশে বেশ সংঘাত হয়। নির্বাচন হলে সংঘাত হয়।

ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব। আমরা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। যেখানে ভায়োলেন্সও হবে না। কিন্তু আমরা চাইলেই হবে না। সব দলের মতের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান করতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ভোট বর্জন করতে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচন করুক। যারা গ্রহণযোগ্যতা সে দল জয়লাভ করবে এবং সরকার গঠন করবে।

পর্যবেক্ষক দল সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বার্তা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কিছু বলেনি। এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা করিনি। তবে আমরা চাই, সবাই নির্বাচন অংশ নিক। কিন্তু আমরা জোর করে কাউকে বলি না নির্বাচনে অংশ নাও।

সব দলকে ভোটে নিয়ে আসতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য, যারা নির্বাচন করতে চায় আমাদের দিক থেকে স্বাগতম। আসা না আসা তাদের সিদ্ধান্ত এবং মাথাব্যথা।

ভোট কারচুপি ও বেচাকেনা নিয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে থাকবে বার্তা দিয়ে মোমেন বলেন, আমরা কাউকে জোর করে ভোট দেওয়াই না বা কোনো দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করব না। আমরা চাই, তারা ইচ্ছে মতো ভোট দেবে। এ রকম ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা বলেছি, ক্যাম্পেইন প্রসেসে যেন কোনো ধরণের ভায়োলেন্স না হয়। যেন ভোট বেচাকেনা না হয় বা ভোট কারচুপি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক। আমরা চাই না কেউ জোর করে কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করতে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৩
টিআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।