ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে মুরাদ সিদ্দিকীর ‘বাধা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে মুরাদ সিদ্দিকীর ‘বাধা’

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ সময় দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

 এছাড়া একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।

দুই ভাইয়ের অনুসারীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকটি গাড়িরবহর নিয়ে আতিয়া মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী। সঙ্গে দুজনেরই কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। পথে দশকিয়া এলাকায় মুরাদ সিদ্দিকী ও তার লোকজন বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে বাধা দেন। এছাড়া আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থকদের মারধর করেন মুরাদ সিদ্দিকী।

এ সময় দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ সিদ্দিকীর বহরে থাকা পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাস ভাঙা হয়। পরে মুরাদ সিদ্দিকী লোকজন নিয়ে তার টাঙ্গাইল শহরের বাসায় চলে যান। পরে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আতিয়া মাজার জিয়ারত করে কালিহাতীর এলেঙ্গাতে চলে যান।

অভিযোগটি অস্বীকার করে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি, কাদের ভাই ও লতিফ ভাই মাজার জিয়ারত শেষে বাসায় চলে এসেছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, অক্টোবর মাসে এ নেতাকর্মীদের উৎখাত করা হবে। আমার বিবেক থেকে এটা প্রতিহত করতে হবে। আমি তো সন্ত্রাস কোনোকালেই করি নাই। এটা প্রতিহত করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেজন্য এসেছি, কালিহাতীর জোকারচর ও গোহাইলবাড়ী এলাকায়। কোনো সভা সমিতি না করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এসেছি।  

নেতাকর্মীদের বলছি, নিজেদের মধ্যে ঐক্য রাখো এবং এ অপশক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন ১৪ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ন্যাড়া তো বেলতলা একবারই যায়। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসে আমি তা বুঝেছি। তখন আমার ৮০ ভাগ ভোট ছিল। আমি খুনাখুনির মধ্যে থাকি না বলে চলে গেছি। আমি কোনো নির্বাচনের জন্য আসি নাই।

মুরাদ সিদ্দিকীর বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার চার/পাঁচজন ছেলেকে সে মারধর করছে, সে বিষয়ে নালিশ পেয়েছি। মুরাদ্দ সিদ্দিকী বিভিন্ন জনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে, সেটি আমি জানি। এলেঙ্গার মেয়রকে সে ভয় দেখাচ্ছে। আমি তাকে কখনও রাজনৈতিক নেতা মনে করি নাই। সে কন্ট্রাক্টর ও সন্ত্রাসী। এর বাইরে আমি কিছু চিন্তা করি নাই। আমার জানা মতে, সে কোনো দিন আওয়ামী লীগও করে নাই, ছাত্রলীগও করে নাই। তাই তাকে নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নাই। রাজনীতি-ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল আজাদ সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।