ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঢাকায় বাঙালি মেয়ে দেখি না, হয় আফগানিস্তান নয়তো পাকিস্তানি: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
ঢাকায় বাঙালি মেয়ে দেখি না, হয় আফগানিস্তান নয়তো পাকিস্তানি: মেনন

ঢাকা: ‘ঢাকায় রাস্তায় চলতে গিয়ে এখন বাঙালি মেয়ে দেখি না। হয় দেখি আফগানিস্তানের মেয়ে, নয়তো দেখি পাকিস্তানের মেয়ে।

’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।  
 
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আইনজীবী সংসদ আয়োজিত ৭১-এর সংবিধান ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

মেনন বলেন, আমরা রাষ্ট্রকে ধর্মের লেবাস পরিয়ে দিয়েছি। এ কারণে একদিকে যেমন সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটছে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বাড়ছে। এটি তো আমাদের সংবিধানে নেই।  

তিনি বলেন, এই সংবিধান তো আমরা চাইনি। তাই রাজনীতিকে ধর্ম থেকে আলাদা করতে হবে। ধর্ম পালনে কোনো বিরোধ নেই। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবেন।

মেনন বলেন, ঢাকায় রাস্তায় চলতে গিয়ে এখন বাঙালি মেয়ে দেখি না। হয় দেখি আফগানিস্তানের মেয়ে, নয়তো দেখি পাকিস্তানের মেয়ে। কয়েকদিন আগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাচ্ছে। আমি সেখানে বাঙালি মেয়ে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু আমি শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরা চার-পাঁচজন মেয়েকে দেখেছি। বাকিরা সবাই বোরকা বা হিজাব পরা।  

তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান এখন আর ৭২-এর সংবিধান নেই। যত ভাবেই বলি না কেন, আমাদের এখনও সময় আছে, আমাদের ৭২ এর সংবিধানকে মূল ধারায় ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানেই একমাত্র স্থানীয় সরকার অধ্যায়টি আছে। উপমহাদেশের অন্য কোনো সংবিধানে স্থানীয় সরকারের অধ্যায় নেই। আমাদের সংবিধানের ধারা-উপধারায় অনেক পারস্পরিক বিরোধ দেখা দিয়েছে, তা কাম্য নয়।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনে রয়ে গেছে। মূলত মৌলিক অধিকারের জায়গায় যে ভয়টি ছিল, সেটি রয়ে গেছে। তাহলে আর সংশোধনটি হলো কোথায়?

বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবদুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।