ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না: ড. মঈন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
আ. লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না: ড. মঈন

ঢাকা: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বাকশালের প্রতিনিধিত্ব করে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের ১ দফার বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

আলোচনা সভায় ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা (বিএনপি) হচ্ছি শান্তির ও উদারনীতির রাজনৈতিক দল। আমরা প্রতিবাদ করছি, প্রতিবাদ করে যাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই সরকারের পতন হয়, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পড়ে গণতন্ত্র হত্যা করেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা মুখে যেটা বলি, কাজও সেটা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুখে যেটা বলে সেটা করে না, অন্যটা করে। যেমন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করেছে। শুধু আজকে নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে তারা (আওয়ামী লীগ) যখন সরকার গঠন করল, তখন সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারেনি। আজ আওয়ামী লীগ সরকার এসেও বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটার অধিকারের জন্য জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল তাদের পদদলিত করতে পারবে না। তারা (জনগণ) আবার জেগে উঠবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। লগি বৈঠা দিয়ে, গুম খুন হত্যা করে গুলি করে কোনো পন্থায়ই বাংলাদেশের মানুষকে পদদলিত করতে পারবেন না।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আযম খান বলেন, নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সরকার গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম, খুন বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ফ্যাসিবাদি শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। গুম-খুন করে সরকার পতনের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে জেগে উঠেছে। এ নিশিরাতের সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এ জন্যই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানবাধিকার আদায়ের জন্য আমাদের এক দফা।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব এম নাজমুল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।