ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আ.লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই থেকে বিরত হয়নি বিএনপি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
‘আ.লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই থেকে বিরত হয়নি বিএনপি’

ঢাকা: বিএনপি ও তার দোসররা আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই থেকে তারা এখনো বিরত হয়নি।

সোমবার (২১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিএনপির নেতাদের একটা মিথ্যাচারের জবাব দিতে চাই। তারা মিথ্যাচার করছেন, আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে। কী অদ্ভুত! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক। ’৭৫ কে ঘটিয়েছে, জবাব দিন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর পরিবার, শিশু রাসেল, অবলা নারী বেগম মুজিব, অন্তঃসত্ত্বা নারী আরজু মনি, মেহেদী রাঙা হাত সুলতানা এবং রোজী। গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল; এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। এই ঘাতক চক্রকে রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস, ক্ষমতার অভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছে জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর। কে কাকে নিশ্চিহ্ন করেছে, কে টার্গেট সেদিন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে কারাগারে চার নেতাকে হত্যা; এটা নিছক হত্যা নয়। এর পটভূমিতে এর পেছনে আছে রাজনীতি ও ক্ষমতার অভিলাষ। মুক্তিযুদ্ধকে নিশ্চিহ্ন করা, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এবং স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা। তারপর ২১ আগস্ট। জিয়া পরিবারের কাকে আমরা কখন  নিশ্চিহ্ন  করেছি? আওয়ামী লীগের কেউ আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা কখনো করি না। বরং নিজেরা ষড়যন্ত্রের শিকার হই। কিন্তু আমরা কাউকে হত্যা-ষড়যন্ত্র করি, এমন প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। আজকে তারা বিদেশিদের বলে আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কীভাবে?

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে হাওয়া ভবন থেকে ২১ আগস্টের অপরারেশন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল হাওয়া ভবনের তৎকালীন যুবরাজ তারেক রহমান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, অর্থ পাচারের অপরাধী, জিয়াউর রহমানের সন্তান তারেক রহমান কাপুরুষের মতো বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছে। ফখরুল সাহেব আপনাদের পরবর্তীকালের স্বপ্নের প্রধানমন্ত্রী তিনি অর্থ পাচারকারী, তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। তাহলে বলুন, আমরা কাকে হত্যার চক্রান্ত করলাম? জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করলো আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য ২১ আগস্ট প্রাইম টার্গেট; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাতে প্রাইম টার্গেট করে সেদিন আমাদের ২২টি প্রাণ ঝরে। আইভি রহমান এখানেই তার রক্তস্রোত বয়ে গেল। আওয়ামী লীগের ৫০০ নেতাকর্মী আহত হলো, পঙ্গু হয়ে গেল সারা জীবনের জন্য কত কর্মী। কী টার্গেট ছিল সেদিন? টার্গেট আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে, আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে এখনো বিরত হয়নি। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখতে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তার দোসর অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে আমাদের রুখতে হবে। এদের প্রতিরোধ-প্রতিহত করতে হবে। এদের পরাজিত করতে হবে রাজনৈতিক আন্দোলনে, পরাজিত করতে হবে নির্বাচনী লড়াইয়ে। এরা অপশক্তি খুনি দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারী ভোট চোর অপরাধী চক্র; স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিকে রাজনীতি করার কোনো অধিকার এদের নেই। এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাদের দেশ বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে নেই; হৃদয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ যদি তাদের হৃদয়ে থাকতো তাহলে আজকে এতসব ঘটনা তারা ঘটাতে পারত না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।