ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: শামীম 

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: শামীম 

শরীয়তপুর: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না।

তার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। চলমান এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই।  

শনিবার (১৩ মে) শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, দেশে ইতোমধ্যে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই বছরে আরো মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আবার আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

উপমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল স্বপ্ন পূরণ করছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র ভরসাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

এনামুল হক শামীম বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না, আর নেত্রী খালেদা জিয়াও এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলেছিল। বিএনপি নামক গণবিচ্ছিন্ন দলটি জনরোসে এখন বিলুপ্তির পথে। বিএনপি ভাল করেই জানে, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে না। তাই তারা মাঝে মধ্যেই নতুন ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়। ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সেই নির্বাচনে পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যাকারী, লুটেরা বিএনপি আর কোনো দিন এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু হয়েছে। আর এ সেতু হওয়ায় শরীয়তপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। ৪ বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিল। হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙন কবলিত নড়িয়ার এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জয়বাংলা এভিনিউ হয়েছে। এছাড়াও পদ্মার দূর্গম চর চরআত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটা বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও ভাঙনরোধে প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাটের প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরার বিলামপুর পর্যন্ত ১১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

নড়িয়া থেকে শুরু করে জেলা সদর হয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই রক্ষা প্রকল্প এগিয়ে চলছে। আমরা শরীয়তপুরকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ জেলায় রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর পর এখন মেঘনা সেতু হবে। সেই লক্ষে ইতোপূর্বে মেঘনা সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর পর মেঘনা সেতু নির্মিত হলে শরীয়তপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিণত হবে। ইতোমধ্যেই শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শরীয়তপুরে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকার পরে নড়িয়ায় আরও একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দিয়েছেন সরকার। শরীয়তপুরে ফোর লেনের কাজও এগিয়ে চলছে। শরীয়তপুরের জাজিরার কৃষিপণ্য ইউরোপ রপ্তানি শুরু হয়েছে। জেলার সব ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমান প্রচীর নির্মাণ করা হয়েছে।  

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস শরীয়তপুরের মানুষ কখনো বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কখনো আপোস করে নাই, আগামীতেও করবে না।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী সিকদার।  

এ সময় সভাপতিত্ব করেন, জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর।

পরে উপমন্ত্রী পদ্মাসেতুর জাজিরা পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুর সদরের প্রেমতলা পর্যন্ত ফোরলেন সড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় সড়ক ও জনপদ শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদোয়ানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।