ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১৪ দলের বাইরেও ইসলামি দল নিয়ে আলাদা জোটের ইঙ্গিত আমুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
১৪ দলের বাইরেও ইসলামি দল নিয়ে আলাদা জোটের ইঙ্গিত আমুর

ঢাকা: ১৪ দলের বাইরে ইসলামি দলগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আলাদা জোট করতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।

এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি-নির্ধারক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমু বলেন, আমাদের সঙ্গে ইসলামি অনেক দল জোট করতে চায়।

কিন্তু আমি আগেও বলেছি আমরা একটা আদর্শিক জোট। তারা যদি আলাদাভাবে নিজেরাই জোট গঠন করে তবে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন বা সরকারের সমর্থন থাকবে।

'যেমন তারা আমাদের কর্মসূচিতে আসলো আমরাও গেলাম বা প্রতিনিধি পাঠালাম। কিন্তু ১৪ দল একটা আদর্শভিত্তিক জোট। এখানে অন্যকোনো ইসলামি দলকে নেওয়া সম্ভব নয়'।

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে জোটের সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মহাজোটেও ইসলামি দলগুলোকে চায় না ১৪ দলের নেতারা জানিয়ে আমু বলেন, এখানে অন্য কোনো ইসলামি দলকে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা যদি আলাদাভাবে নিজেরাই জোট গঠন করে তবে তাদের প্রতি জোটের সমর্থন বা সরকারের সমর্থন থাকবে।

১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক আমু বলেন, ১৪ দলকে হালুয়া রুটির দল নয়, ১৪ দল আদর্শিক জোট।  এখানে কোনো ফাটল নেই। যেহেতু আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, অনেক দল অনেক কিছু পায়নি, তারপরও জোটে আছে।

দ্বিধাবিভক্তি নেই দাবি করে আমু বলেন, ১৪ দল নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চায়। সংবিধানের চার মূলনীতিতে জিয়া সংবিধানের উপর আঘাত করেছিল। জিয়া এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিল। এই দেশে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না।

১৪ দলীয় জোটের সমম্বয়ের অভাব আছে কি না জানতে চাইলে, সাংবাদিকের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি আমু।

তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কাছে আলাদাভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমন্বয়ের অভাব আছে। সে বিষয়ে সভায় কথা বলেছি।

১৪ দলীয় জোটের এ সভায় সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু'র সভাপতিত্বে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া,  বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের  চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরন রায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন,  গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট মৃনাল কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন। তবে যানজটের কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫, ১৩ মার্চ, ২০২৩
এনবি/জেএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।