ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণ রাস্তায় নামলে সরকার টিকতে পারবে না: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
জনগণ রাস্তায় নামলে সরকার টিকতে পারবে না: গয়েশ্বর

ঢাকা: জনগণ যখন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে তখন কোনোন শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। পেছনে তাদের শক্তি যতই থাকুক, সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে না।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেওয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমার ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোনো কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু যে টাকাগুলো খরচ হয়েছে সে টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে?

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক যে অবস্থা এতে করে শেখ হাসিনার যদি ন্যূনতম মস্তিষ্ক ঠিক থাকতো তাহলে তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছেড়ে দিতেন। কারণ তার পক্ষে এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কঠিন। এরপরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে তাদেরও রাষ্ট্র পরিচালনা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। এই যে টাকাগুলো চলে গেল এই টাকা উদ্ধার করা,। যারা টাকাগুলো লুট করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা- এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ। এই অবস্থার মধ্যে আজকে দেশটা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

গয়েশ্বর রায় বলেন, অনেকেই গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছেন। আমি বলব তাদের মুক্তির দাবি নয়, তাদেরকে মুক্ত করব। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, এছাড়া কারাগারে যেসব নেতা রয়েছেন তাদেরকেও মুক্ত করব। নাম জানা-অজানা অসংখ্য নেতা আটক রয়েছেন, তাদেরকেও মুক্ত করব।

আদালতের আচরণ আর গরিবের আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই দাবি করে এই বিবনেপি নেতা বলেন, কারণ সরকার সব আদালতকে আয়ত্ত করেছে। এমন ভাবে আয়ত্ত করা হয়েছে অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয় আদালত সেটাই করে। আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই।

তিনি বলেন, আজকে অন্যায়ভাবে বন্দী আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসংখ্য মামলায় আজকে বিচার পাচ্ছেন না। অবিচারের মধ্য দিয়ে তারা নির্যাতিত হচ্ছেন। এই সরকার লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার; জনগণের পকেটমার সরকার। অর্থাৎ জনগণের পকেট যদি না মারতো তাহলে ১০ লাখষ কোটি টাকা কী করে পাচার হলো? কী করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়? কীভাবে শেয়ার বাজারের টাকা উধাও হয়ে যায়? কী করে লাগামহীনভাবে দুর্নীতি হয়?

মানববন্ধনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা বেনজীর আহমেদ টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।