ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রূপগঞ্জে যুবলীগের হামলায় আহত ৮, গাড়ি ভাঙচুর-গুলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
রূপগঞ্জে যুবলীগের হামলায় আহত ৮, গাড়ি ভাঙচুর-গুলি

নারায়ণগঞ্জ: এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এসময় গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া হাট সংলগ্ন এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

এদিকে এসব হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাঝে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সফিকুল ইসলাম সফিক ও তারিকুল ইসলাম মোঘল গ্রুপের সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। এসবের জেল ধরে খুন হয়েছেন কাঞ্চন পৌর মহিলালীগ নেত্রী সামসুন্নাহার বেগমের ছেলে রাসেল মিয়া।

কেন্দুয়া হাট সংলগ্ন এলাকার হাসমত আলীর বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে এসব বিরোধের জের ধরেই গোলাম রসুল কলি ও তার লোকজনের ওপর রামদা, চাপাতি, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুবলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম সফিকের নেতৃত্বে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে অন্তত আট জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে চরপাড়া এলাকার করিম মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন, কাঞ্চন এলাকার মহিলালীগ নেত্রী সামসুন্নাহার বেগমের ছেলে বাছির উদ্দিন, আবু সাঈদের ছেলে মোমেন, সুরুজ মুন্সীর ছেলে আলী বান্দার নাম জানা গেছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আফজাল, বাছির উদ্দিন ও ফজলুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন।

এসময় প্রায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। হামলাকারীরা প্রাইভেটকারসহ অন্তত ১০টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন সেতু ও মায়ারবাড়ি স্টেশন এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন পরপর হত্যা, হামলা, সংঘর্ষ, গুলি, ভাঙচুরসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ক্ষমতাসীন দলীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের কাছে অসহায়। তাদর বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। উদ্ধার হচ্ছে না কোনো অস্ত্রশস্ত্র।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এমআরপি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।