ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

এত মোশতাক কোথায় রাখব

নঈম নিজাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
এত মোশতাক কোথায় রাখব

এত বছর পরও বিতর্ক হয় নেতাজি সুভাষ বসু জীবিত না মৃত। তিনি প্লেন দুর্ঘটনায় জাপানে মারা গেছেন না সন্ন্যাস -বেশে ভারতে এসেছিলেন? নেতাজিকে সর্বশেষ কোথায় দেখা গেছে তা নিয়েও গবেষণার শেষ নেই।

দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সুভাষ বসুর জার্মানিকে সমর্থন, হিটলারের সঙ্গে যোগাযোগ, জাপানে অবস্থান ঠিক না ভুল তা নিয়েও অনেক বিতর্ক। নেতাজি সুভাষ বসু বাঙালির জন্য এক রহস্যময় চরিত্র। বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ক্ষমতা, মন্ত্রমুগ্ধের মতো গণমানুষের আস্থা অর্জন খুব কম নেতার ভাগ্যে জোটে। সুভাষ বসু আলাদা ছিলেন। ব্যতিক্রম ছিল তাঁর পথচলা। রাজনৈতিক দর্শন আর ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নিয়ে কংগ্রেসের বেশির ভাগ নেতার সঙ্গে মত ও পথের ভিন্নতা ছিল শেষ দিকে। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্কটা ছিল আলাদা। গান্ধী বুঝতেন, সুভাষ দেশকে স্বাধীন করতে চান যে কোনো মূল্যে। যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে ছিলেন সুভাষ বোস। বুঝতেন ব্রিটিশরা সহজে স্বাধীনতা দেবে না। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে হিসাব-নিকাশ না মেলাতে পেরে দল ছাড়লেন। নিলেন আলাদা অবস্থান। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করলেন। প্রশিক্ষণ দিলেন অনুসারীদের। সফল হলেন না। তাই ব্যর্থতার গ্লানি আড়াল করতে সরে পড়লেন দৃশ্যপট থেকে। সে হিসাব এখনো চলছে। ইতিহাসের অনেক হিসাব-নিকাশ থাকে। অনেক অমীমাংসিত ইস্যু থাকে। ইতিহাস চলে আপন মহিমায়। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নিজের লেখা বইয়ের একটা অংশ প্রকাশ করার নির্দেশ দেন মৃত্যুর ৩০ বছর পর। ভারতের অখন্ডতা বজায় রাখা, কংগ্রেসের সভাপতি পদ নেহরুকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে মহাত্মী গান্ধীর সঙ্গে শেষ কথাগুলো লিখে গেছেন মাওলানা আজাদ। গান্ধী চাননি মাওলানা আজাদ কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছাড়ুন। চাননি ভারতের বিভক্তি। টানা ১০ বছর পার্টির দায়িত্বে থাকার পর মাওলানা আজাদ কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। ইতিহাসে সবাই এভাবে পারে না। আর পারে না বলেই সবাই ইতিহাস তৈরি করে না।

ভারতবর্ষের আরেকজন বাঙালি বিপ্লবীর কাজকারবারও ছিল রহস্যঘেরা। তাঁর নাম মানবেন্দ্রনাথ রায়। তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। শুধু ভারত কেন, তিনি আরও অনেক দেশে কমিউনিস্ট রাজনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখেন। মেক্সিকো থেকে রাশিয়া ছিল তাঁর হাতের মুঠোয়। তিনি এম এন রায় নামেই বেশি পরিচিত। মেক্সিকো, আমেরিকা, রাশিয়া, চীনে কমিউনিস্ট রাজনীতির বিকাশ ঘটান। দেশের টানে ফিরে আসেন। দেশে বিপ্লবী রাজনীতি করতে গিয়ে প্রথম জীবনে বারবার বিপদে পড়েন। এ কারণে দেশও ছাড়েন বারবার। জাপানে ছিলেন কিছুদিন। তারপর যান যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয়। সেখানেই মানবেন্দ্র নামটি নেন। আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আমেরিকায় থেকে মার্কসবাদকে এগিয়ে নেন। মেক্সিকো গিয়ে যোগ দেন সোশ্যালিস্ট পার্টিতে। মেধা-মননে ছিলেন উচ্চমাত্রায়। তক্কে-বিতর্কে পরিচিত হন লেনিনের সঙ্গে। লেনিনের ঔপনিবেশিক থিসিসের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে আলাদা প্রস্তাব আনেন। লেনিন বিস্ময় নিয়ে দেখেন এই বিপ্লবী নেতাকে। তাঁকে তিনি কাছে টেনে নেন। রাশিয়ায় সামনের সারিতে চলে আসেন বিপ্লবী এম এন রায়। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে হয় অবস্থান। লেনিনের মৃত্যুর পর তাঁকে পাঠানো হয় চীনে। পরে তিনি ফিরে আসেন ভারতবর্ষে। সারা জীবনের অর্জন কমিউনিস্ট পার্টি ত্যাগ করেন। যোগ দেন কংগ্রেসে। বহিষ্কার হন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে। ১৯৪০ সালে কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে চমক আনেন। কিন্তু পরাজিত হন। নেতাজি সুভাষ বোসের সঙ্গেও কাজ করেন এম এন রায়। সুভাষ বোস চাইতেন স্বাধীনতা। আর এম এন রায়ের টার্গেট অর্থনৈতিক মুক্তি। সুভাষ বোস বলতেন, দেশ স্বাধীন হলে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবেই। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

সুকান্ত লিখেছেন, ‘বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই লেনিন। ’ নেতাজি সুভাষ বসু ও বিপ্লবী এম এন রায় বাঙালির নেতৃত্বকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সে যুগে বাংলা থেকে বিশ্বময় কী করে এ দুই নেতা ছড়িয়ে পড়েছিলেন ভাবতেই বিস্ময় লাগে। এ উপমহাদেশকে নতুন মাত্রায় নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পূর্ণতা দিতে পারেননি, সফল হননি। সফল হয়েছিলেন একজন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের আগে কলকাতায় যাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। ব্রিটিশ শাসনকালে এক ধারার রাজনীতি করেছিলেন। ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্তির পর আরেক ধরনের। কবি নজরুলের জয় বাংলা, রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলাকে বুকে ধারণ করে তিনি যাত্রা করেন। নেতা মানতেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে আকাশটা ছুঁয়ে দেখেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল একবার। আলাপে আড্ডায় সেই সংগঠক বললেন, তাঁরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধুর চোখের আলোয়। বঙ্গবন্ধুর আদেশ-নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেন। মাঝামাঝি কিছু ছিল না। ষাট দশকের সব ছাত্রনেতা একজনের আদর্শ লালন করতেন। সে আদর্শ ছড়িয়ে দিতেন মানুষের মধ্যে। তখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার কথা বলত না। তারা বামধারার নানামুখী রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাত। সচেতন বুদ্ধিজীবীদের ছিল একই হাল। শহর ও মফস্বলের বিত্তশালী পরিবারগুলো করত মুসলিম লীগ। শুধু খেটে খাওয়া মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভাষা বুঝত। বঙ্গবন্ধু খেটে খাওয়া মানুষের রাজনীতি করতেন। তাদের সংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ করেন। তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন- দেশ স্বাধীন হলেই অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসবে। সাধারণ মানুষ মুজিবের আদর্শের পথে হাঁটতে শুরু করে। মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, নেতাজি সুভাষ বসুর নেতৃত্বের উত্তরাধিকার হয়ে যান একজন শেখ মুজিব। মানুষের হৃদয় জয় করে ২৩ বছরের টানা আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা কোনোভাবেই এক দিনের কোনো অর্জন নয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ফসল।

অনেক সময় প্রশ্ন জাগে কী করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে সবকিছু শেষ হয়ে গেল? সদ্যস্বাধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের জন্য সাড়ে তিন বছর কোনো সময়ই নয়। দেখতে দেখতে চলে যায়। বিধ্বস্ত দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রথম দিনই শুরু হয়ে যায় ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত। ঘরের অভ্যন্তরে ছিল খন্দকার মোশতাক। বাইরে ছিল ঘষেটি বেগমরা। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দলগুলোও বসে ছিল না। তারা মদদ জোগাতে থাকে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আর মিথ্যার বেসাতি ছড়িয়ে দিতে থাকে দেশ-বিদেশে গণকণ্ঠ, হক কথা, ইত্তেহাদ, হলিডেসহ কিছু পত্রিকার ভাষা, রাজনৈতিক দলের লিফলেট আর পল্টনের সভা-সমাবেশের মাধ্যমে। সাংবাদিকতার কোনো এথিকস ছিল না। রাজনৈতিক দলের ভাষা আর চরমপন্থি, উগ্রপন্থিদের বক্তব্য এক হয় না। কিন্তু সদ্যস্বাধীন দেশে সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ছাত্রলীগের ভাঙন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্ষমতাসীন দলকে। সরকারি দলের ভিতরে-বাইরে ছিল নানামুখী বিভক্তি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো গড়ে তুলতে বিলম্ব হচ্ছিল। অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস বন্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠন করা হয় রক্ষীবাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান ছিলেন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল নুরুজ্জামান। এর বাইরে আরও মেজর হাসানসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। রক্ষীবাহিনীর জন্ম বিডিআর সদর দফতরে। কাজ ছিল এখনকার র‌্যাবের মতো। প্রথম দুই ব্যাচে মুক্তিযোদ্ধাদের নেওয়া হয়। কারণ ছিল যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে সাহসী ভূমিকা রাখা। রক্ষীবাহিনীর দুই কর্মকর্তা কর্নেল আনোয়ারুল আলম শহীদ ও সরোয়ার মোল্লা তাঁদের লেখনী ও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সবকিছু পরিষ্কার করেছেন। সে বাহিনীকে নিয়ে প্রথম থেকে মিথ্যাচারের শেষ ছিল না। রক্ষীবাহিনীর অস্ত্র রাতে রাখা হতো বিডিআর সদর দফতরে। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা টিমে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য রাখা হলেও রক্ষীবাহিনী ছিল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের বাইরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান ছিল রক্ষীবাহিনী।

বঙ্গবন্ধু সরকারের করা সব ভালো কাজের বিরুদ্ধে সমানে অসত্য প্রচারণা ছিল। আওয়ামী লীগ সেসব মিথ্যাচারের পাল্টা জবাব ঠিকভাবে দিতে পারেনি। আর দিতে না পারার কারণ ছিল ঘরে-বাইরে মোশতাকরাই ছিল সামনের সারিতে। ক্ষমতায় তারাই ছিল। চাইলেও বঙ্গবন্ধু মোশতাকদের এড়িয়ে যেতে পারতেন না। বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল কেন সব আমলেই মোশতাকদের একটা অবস্থান থাকে। পলাশীর আম্রকাননে মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজের পতন হয়েছিল। এ পতন শুধু বাংলা-বিহার-ওড়িশার নবাবের ছিল না। এ ছিল ভারতের স্বাধীনতার পতন। পলাশী দিয়েই ভারতবর্ষের দখলদারি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে যায় ইংরেজ বেনিয়ারা। পলাশী থেকে ধানমন্ডি, মীরজাফর থেকে মোশতাক ইতিহাসের সব কালো অধ্যায় বিশেষ সূত্রে গাঁথা। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত বলেকয়ে আসে না। হুট করে যুক্ত হয়। পরিবেশ, পরিস্থিতি তৈরি করতে ছোট ছোট ঘটনাই বড় হয়ে যায়। বুঝে না বুঝে অনেকে জড়িয়ে পড়ে। মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমরা জাতির পিতাকে হারিয়েছি। জয়ী হয়েছিল চক্রান্তকারীরা। ৩ নভেম্বর ক্যু বঙ্গবন্ধুর পক্ষে হলে আওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায় বসল না? শুধু জেলহত্যার কারণেই কি সবকিছু থমকে গিয়েছিল? নাকি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর কোনো পরিকল্পনাই ছিল না? থাকলে কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কেন খালেদ মোশাররফদের বৈঠক হলো না? মাত্র তিন দিন পর জাসদের গণবাহিনী কী করে ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করে বসে? কর্নেল তাহেরের প্রস্তুতি কি আগে থেকে ছিল না? জাসদের ক্যু কী করে জিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেল? খালেদ মোশাররফ, হুদা, হায়দারকে কারা হত্যা করল? অ্যান্থনি মাসকারেনহাস, এল এ খতিবসহ অনেক বিদেশি সাংবাদিক কিছু ইতিহাস লিখে গেছেন। সবকিছু তাঁরা তাঁদের লেখায় আনেননি বা আনতে পারেননি। হয়তো আগামী দিনে আমরা আরও অনেক কিছু জানব। অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। অনেক ইতিহাসের মীমাংসা এখনো হয়নি।

শেষ কথা
রাজনীতির সময়টা এখন অনেক বেশি জটিল। দুনিয়ার সব হিসাব-নিকাশ বদলে গেছে। তার পরও রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ ছাড়া দেশ চলতে পারে না। যত বড় আমলা হোন না কেন বুঝতে হবে রাজনীতিবিদরাই আপনাকে চেয়ারে বসিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা অবশ্যই আছে। আর আছে বলেই আপনি চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন। তাদের দুর্বৃত্ত বলছেন। এই দিন না-ও থাকতে পারে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আপনার জুনিয়র অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তাকে স্যার ডাকতে হয়েছিল সিভিল আমলাদের। দয়া করে রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে দিন। তাদের সঙ্গে অকারণে লড়ে অস্থিরতা তৈরির সুযোগ নেই। জনগণের সেবক হিসেবে প্রশাসন চালান। দলবাজি আর নিজে রাজনীতিবিদ, দলীয় কর্মী সাজার চেষ্টা করবেন না। সমস্যাটা দলীয় কর্মী সাজার চেষ্টা থেকে উৎপত্তি হচ্ছে। আপনি বড় নেতা না এমপি-মন্ত্রী বড় নেতা- সে হিসাব থেকে ঝামেলা বাধছে। আপনারা ভাবেন দল বা দলীয় নেতা-কর্মীর কী দরকার? আপনারাই চালিয়ে নেবেন সবকিছু। ইতিহাস বলে, রাজনৈতিক সরকার বিপদে পড়লে, সরকার বদল হলে আমলাদের চেহারা বদলে যায়। দলের বিপদ রাজনীতিবিদরা সামাল দেন। -সংগ্রাম করে, জেল-জুলুম সয়ে দলকে ক্ষমতায় আনেন। তাদের খাটো করে কারও বড় হওয়ার কিছু নেই। সবকিছু চলে টিম দিয়ে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়।

লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।