ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ  প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ।। অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের শুরুটা হয়েছিল প্রায় শূন্যের অর্থনীতি দিয়ে। সব বাধা অতিক্রম করে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন পরিচিত উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দিয়েছেন ভিশন ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১। 

এর সঙ্গে রয়েছে শতবর্ষব্যাপী ডেল্টাপ্ল্যান। আগামীর বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে নেতৃত্ব দেবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে।

 

তার এই ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছেন তারই পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে। আজ যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আমরা দেখছি, তা বিনির্মাণের কারিগর বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র।

সর্বপ্রথম বলতে হয় মোবাইল ফোনের বিষয়ে। একটা সময় ছিল যখন এনালগ টেলিফোনের যুগ ছিল এবং তারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে যোগাযোগ করা হতো। যোগাযোগ বেশ ব্যয়বহুল একটা বিষয় ছিল। এরপর এলো ওয়্যারলেস ডিজিটাল মোবাইল ফোন, যার মাধ্যমে যোগাযোগ বেবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে যায়। এই ফোনও প্রথমে ব্যয়বহুল ছিল। প্রতি মিনিট ফোন বিল বর্তমানের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ছিল।  

কিন্তু সেই ফোন সহজলভ্য করে দেওয়ার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখন নিত্য নতুন মডেলের মোবাইল ফোন সহজলভ্য হয়ে গেছে আগের তুলনায়। তেমনি প্রতি মিনিটের ফোন বিলও অস্বাভাবিক মাত্রায় কমে গেছে। ফলে সব শ্রেণীর মানুষের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এখন অনেক সহজ।  

এরপর এলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট এখন এতটাই সহজলভ্য যে, কেউ মোবাইল থেকেও ইন্টারনেটে কাজ করতে পারে অনেক কম খরচে। বিটিআরসির তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা আট কোটি ২০ লাখ ২৪ হাজার। এর বেশিরভাগ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮১ হাজার। পিএসটিএন এবং আইএসপি গ্রাহক সংখ্যা ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার। এরপর ইন্টারনেট সার্ভিসে এলো যুগান্তকারী পরিবর্তন।  

প্রথমে এলো ৩জি ইন্টারনেট সার্ভিস (অক্টোবর, ২০১৩), তারপর এলো ৪জি ইন্টারনেট (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮)। ৫জি ইন্টারনেট সুবিধাও আমরা পেতে যাচ্ছি ২০২০ সালে। ধাপে ধাপে ইন্টারনেট খাতে এভাবেই উন্নতি সাধিত হয়ে আসছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন চালু করার অনুমোদন পায় ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর।  

এর সঙ্গেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সিমিউই ৫এর ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হয়। সবচেয়ে বড় অর্জন ‘বঙ্গবন্ধু-১ ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে।

সহজলভ্য দ্রুত গতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। সবচেয়ে বেশি আমরা উপকৃত হয়েছি তথ্যপ্রযুক্তিতে। এখন খুব সহজেই দেশ-বিদেশের খবর আমরা মুহূর্তেই পেয়ে যাচ্ছি মুঠোফোনে। পুরো বিশ্বটাই যেন এখন হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যে কোনো ঘটনা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে দেখতে পাই। উন্নতি সাধিত হয়েছে যোগাযোগ মাধ্যমেও। এখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে খুব সহজেই দেশ-বিদেশে যোগাযোগ করা সম্ভব।  

শুধু অডিও কল নয়, ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব এবং তা খুব কম খরচে। দূরত্ব কোন বিষয়ই নয় এখন। শুধু পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগই নয়, ভিডিও কলের মাধ্যমে এখন টেলি কনফারেন্স করাও সম্ভব হচ্ছে। মানুষ অফিসের কাজে ঘরে বসেও দেশ বিদেশে থাকা মানুষের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে অংশ নিতে পারে।  

এমনকি চাকরির জন্য ইন্টারভিউও ভিডিও কলের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব। এতসব কিছু আগে ভাবাই যেত না। এটা তো গেল যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়।  

এবার আসা যাক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট আমাদের কেমন সহযোগিতা করছে। এখন ঘরে বসেই মানুষ দেশ-বিদেশের নানাবিধ পণ্যের ব্যাপারে ধারণা নিতে পারে। সেই অনুযায়ী পণ্য আমদানি-রফতানিও করতে পারে। এখন মানুষ খুব কম বিনিয়োগে অনলাইনে নানাবিধ ব্যবসা করছে।  

বই থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রী, জামাকাপড়, এমনকি কাঁচা বাজারটিও খুব সহজেই অনলাইনে করা যায়। আমরা খুব সহজের অনলাইনে পণ্য কিনতে পারছি। আবার সেই পণ্য আমাদের বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা আমাদের সময়ও বাঁচাতে পারছি আবার পণ্য কিনতে কোথাও কষ্ট করে যেতেও হচ্ছে না।  

বিক্রেতাদের স্বল্প বিনিয়োগে লাভ হচ্ছে বহুগুণ। ফলে বহু মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে উঠেছে, যা মানুষের দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনের খেয়াল রাখছে। এসব স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর মাঝে উবার, সহজ এবং পাঠাও অন্যতম।

এসব কোম্পানি মানুষকে সহজেই একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ফলে বহু বেকার যুবক রাইড শেয়ার করে আত্মনির্ভর হতে পারছে। আর সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণ সহজে কাজের সময় রাইড সার্ভিস সেবা গ্রহণ করে খুব সহজেই গন্তব্যে যেতে পারছে। তাও বেশ কম খরচে। এ ছাড়াও মানুষ ঘরে বসেই খাবারের অর্ডার দিতে পারছে, যা খুব কম সময়েই বাড়িতে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বা অফিসে কাজের লোকের দরকার তাও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করা যায়।  

রূপচর্চা করতে বাড়ির বাইরে যাবার আর প্রয়োজন নেই। এখন অ্যাপের মাধ্যমে ঘরেই বিউটিশিয়ান ডেকে রূপ পরিচর্যার কাজ করা যায়। এ রকম নানাবিধ ভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান সহজ হয়ে গিয়েছে এবং তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনিপুণ পরিকল্পনার কারণেই।

লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এখন বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা প্রদান করা হয় আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এখন শিক্ষকরা খুব সহজেই অনলাইন থেকে শিক্ষণীয় অনেক তথ্য অডিও এবং ভিডিও আকারে পেয়ে থাকেন।  

যার মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে খুব সহজেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তা তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন। যাদের বাড়ির বাইরে গিয়ে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, তারাও ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এমন অনেক অনলাইন মাধ্যম আছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই স্বল্প খরচে লেখাপড়াও করতে পারছেন এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন। শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে নিজের লেখা পাঠাচ্ছেন উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে, যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ কতটা এগিয়ে যাচ্ছে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। দেশের হাসপাতালগুলোতে এখন অত্যাধুনিক ডিজিটাল সরঞ্জামাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়। এখন জটিল থেকে জটিলতর রোগের চিকিৎসাও বাংলাদেশে করা যাচ্ছে।  

আমাদের অনেক খরচ করে দেশের বাইরে এখন খুব একটা যেতে হচ্ছে না। সুচিকিৎসার অভাবে মানুষ এখন অকালে প্রাণ হারাচ্ছে না আগের মতো। চিকিৎসকেরা এই আমূল ডিজিটাল পরিবর্তনে অনেক সুবিধা লাভ করছেন। এমনকি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে তারা পরিচিত হচ্ছেন। এতে লাভ হচ্ছে আমাদেরই। চিকিৎসা সেবা উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে দিন দিন।

এবার সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা যাক। এখন অনেক অফিসে এবং বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সর্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদি অপরাধ সংঘটিত, তার রহস্যও উদঘাটন করতে মানুষ ডিজিটাল সরঞ্জামাদির সাহায্য নিচ্ছে। ফলে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করা এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনাও এখন আগের থেকে সহজ হয়ে যাচ্ছে।  

বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও এখন এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এখন তথ্যের ভাণ্ডার ইন্টারনেট থেকে দেশ-বিদেশের নানা তথ্য সহজেই মানুষ পাচ্ছে, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কাজেও লাগছে। পুরো বিশ্বটাই যেন এক হয়ে যাচ্ছে।

অর্থনৈতিক লেনদেন খাতেও এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখন অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে। এখন ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে। ২৪ ঘণ্টা এটিএম বুথের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলাও সম্ভব। যে কোনো প্রয়োজনে এখন টাকা তুলতে আর ঘন ঘন ব্যাংকে দৌড়াতে হয় না। তেমনি যখন তখন যেকোনো প্রয়োজনে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করা সম্ভব।  

এমনকি শপিং মলে কেনাকাটা করতে গিয়ে নগদ টাকার চিন্তা করার দরকার হয় না বললেই চলে। কার্ডের মাধ্যমে যখন তখন শপিংটাও সেরে ফেলা যায় ।  

যেকোনো সমস্যায় রয়েছে ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস, যেখানে কল করে ব্যাংকিংয়ের সব তথ্যই পাওয়া যায়। এমনকি অনেক ব্যাংকিং সার্ভিসও নেওয়া যায়। এছাড়া জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন, পল্লী বিদ্যুতের বিল, মোবাইল, গ্যাস বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সরকারি এবং পাবলিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন এবং ফল সংগ্রহ, চাকরির আবেদন এবং তথ্য সংগ্রহ, ভিসা আবেদন, ছবি এবং ভিডিও চিত্র সংগ্রহ , জরুরি কাগজের ফটোকপি, লেমিনেটিং এসবই ডিজিটাল বাংলাদেশের এক ঝলক মাত্র।

বাংলাদেশে গড়ে উঠছে ২৮টি হাইটেক এবং আইটি পার্ক, যা বহু মানুষের বেকারত্ব ঘোচাতে সক্ষম হবে। এখানে বাংলাদেশেই তৈরি করা সফটওয়্যার দ্বারা কল-কারখানা, অফিস-আদালত চালিত হবে। দেশের মেধা দেশেই থাকবে। অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে ৮. ১৫ শতাংশ।  

মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, গত অর্থবছরে শিল্প খাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১২. ৬৭ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে ছিল ১২. ০৬ শতাংশ । কৃষি খাতেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখা যায় ৩. ৯২ শতাংশ। কর্মক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরে ছিল ৬. ৭৮ শতাংশ।  

একইভাবে গত অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৩. ৫৪ শতাংশে, যেখানে সরকারি বিনিয়োগ ছিল ৮.০৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ দিন দিন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে, যা দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে, যেখানে আমরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং রোবটিক্স নিয়ে ভাবছি।  

দেশে স্থাপন করা হয়েছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে।  

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ডিজিটাল উন্নতির কারণে একথা বিশ্বাসযোগ্য যে, সেদিন খুব দূরে নয়, যখন বাংলাদেশ গোটা বিশ্বে উন্নত রাষ্ট্রের একটি হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার দিন খুব বেশি দূরে নয়। এই স্বপ্ন অনেকটাই সার্থক হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়াই হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপায়ণ। আর তাহলেই অর্জিত হবে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের প্রকৃত বিজয়। শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের বিজয়, মানবতার বিজয়।

লেখক: সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।