ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ফেলের হার একটু বাড়ানো যায় না!

রাজীব মীর, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৪
ফেলের হার একটু বাড়ানো যায় না!

শিক্ষা সংক্রামক, শুধু আলো ছড়ায়। অন্ধকারের ভূত তাড়ায়।

অশিক্ষা হলো ব্যাধি, সমাজে সংশয় বাড়ায়। শিক্ষা তাই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়। একে প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোবদ্ধ কর‍ার সময়ও তাই ধারাবাহিক ভাবনা চিন্তার দরকার হয়, করা হয়ে থাকে। তবুও সব ব্যবস্থাতেই যেমন গলদ থাকে এটিও ব্যতিক্রম নয়। এখানেও ভুল শুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক চলে, আলোচনা হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও তাই চিন্তাশীলদের ভাবনার শেষ নেই, তাঁরা প্রতিনিয়ত ভাবছেন আর কাজও করছেন। কিন্তু বড় ধরনের অসঙ্গতি দেখলে পরে সর্বস্তরে গেলো গেলো রব পড়ে যায়, এটা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সবাই।

সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অতএব আলোচনা চলছে। ব্যক্তিগতভাবে আতঙ্ক আমাকে গ্রাস না করলেও সংশয়গ্রস্থ করেছে, আমি বিচলিত হয়েছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। নানাবিধ কারণে নানা মাধ্যমে আমাকেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই লেখা।

মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে আমি জিপিএ চিনতাম না, নাম শুনিনি। আমি শুধু জানতাম এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা মানে ম্যাজিস্ট্রেট আতঙ্ক। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যজিস্ট্রেট পরীক্ষার হলে আসেন, নকল ধরেন আর এক্সপেল (বহিস্কার) করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মানে ভয়াবহ ক্ষমতাধর কেউ, অনেক সময় কর্তব্যরত শিক্ষকদেরও নকল সাপ্লাই বা দ্বায়িত্ব অবহেলার কারণে তিনি এক্সপেল্ড করে দিতেন। মফস্বলের পরীক্ষা কেন্দ্রে বাবা-মা-ভাই-বোনসহ অন্যান্য শুভাকাঙ্খীরা ভীড় করে থাকতো, কেউ কেউ নকল সাপ্লাই দিত। সেগুলোকেও তখন পত্রিকার পাতায় নকলের উৎসব বা মহোৎসব বলে অভিহিত করা হতো।

প্রতিবার পরীক্ষার সময়ে এ বিষযে ভাবনা চিন্তা লেখালেখি হতো, পাশাপাশি পরীক্ষায় নকলও সমানহারে চলতো। নকল তখন অনেকটা ক্ষুদ্র শিল্প। নিত্য নতুন ডিজাইন। সুন্দর করে বই কাটা ও মিহি করে কাগজ ভাঁজ করে হাতের তালুর মাপে লেখা, হলের বাইরে লেখার জন্য লোক থাকা, সহজ সাপ্লাই, সিট বসানো- এমন রকমারি পদ্ধতিতে এ শিল্পের অনুশীলন হতো। হাসাহাসিও কম হতো না। অনেক পরীক্ষার্থী বাইরের নকলের কাগজের উপরে লেখা নির্দেশনা দেখেই পরীক্ষার খাতায় সোজা লিখে দিতো ৫নং প্রশ্নের  উত্তর ‘তোমার ডান পকেটে আছে’ অথবা ৩নং প্রশ্নের উত্তর ‘তুমি লিখে রহিমকে দিও’ ধরনের।

একই পরীক্ষার্থী পাঁচবার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করেছে বা করেনি এমনটিও হয়েছে। পাশাপাশি ফলাফল প্রকাশের পর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বাবা-মাসহ হস্যোজ্জল বসে থাকতে দেখতাম স্ট্যান্ডকৃত প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়দের। বোর্ডে তখন মেধার দিকে প্রথম কুড়িজনকে স্ট্যান্ড করেছে হিসেবে অভিহিত করা হতো, তারাই হতো জাতির পরবর্তী জেনারেশনের রোল মডেল। ক্যাডেট কলেজগুলো রাষ্ট্রের অফুরন্ত বাজেট ভোগ করে তখনও তালিকাটি নিজেদের অধীনেই রাখতো, কালেভদ্রে বাইরের স্কুল কলেজগুলো এখানে মুখ দেখানোর সুযোগ পেত। পরবর্তীতে অবশ্য এ উপনিবেশ কিছুটা ভেঙ্গেছে। সে যাই হোক।

পড়াশোনা সম্বন্ধে প্রচলিত ধারণা ছিলো এই যে, আগে ব্রিটিশ আমলে অনেক কঠিন পড়াশুনা ছিলো। সে সময় আমার দাদা পাশ করেছেন। তিনি জাঁদরেল ইংরেজী জানতেন। এখনকারগুলো কোনো পড়াশুনাই নয়, কারণ সব বই বাংলায়। ইংরেজী জানা তখন প্রেস্টিজিয়াস (সম্মানের) বিষয় হয়ে পড়তো এবং আমার মনে আছে আমি ভোলা থেকে বরিশালে লঞ্চ যাত্রায় (ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন) একটি ইংরেজী অবজার্ভার পত্রিকা কিনে ভাব নিয়ে হাতে রাখতাম, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো। আমার ছোট ফুপা বাড়িতে ভরা আসরে সে গল্প বলে হেসে খুন হতেন যে আমি নাকি পত্রিকাটি উল্টো ধরে সটান চোখে পড়বার ভান করতাম, সেটা তিনি দেখেছেন।

যাহোক, আমার বাবা আমাকে এ ইংরেজী জানবার সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে চাননি। এমন শিক্ষকের কাছে ইংরেজী পড়তে পাঠিয়েছিলেন, যিনি চোস্ত ইংরেজী জানেন। তিনি আমার বাবারও শিক্ষক, নাম হুদা স্যার। সবাই তাঁর ইংরেজী জ্ঞানের জন্য তাঁকে বিশেষ সম্মান করতেন, আমিও। উল্লেখ্য, শামসুল হুদা স্যার নাকি ব্রিটিশ পিরিয়ডে সাতবারে মেট্রিকুলেশন পাশ দিয়েছিলেন, বাকি ছয়বার ফেল।

বাংলাদেশে পরীক্ষার ফল বের হলে তখনও এবং এখনও, পত্রিকায় পাসের হার লেখা থাকে। এটা দিয়েই জাতির পড়াশুনা মান বিচার বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আশির দশক থেকে পাসের হার বাড়ানোটাই তাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়, সরকারি চাপ তো বটেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তার নিজ নিজ স্কুল কলেজের পাশের হার বাড়ানোতে বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠে। পত্রিকাগুলোও এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন থাকতো। কিছু দৈনিক তো কোচিংয়ের শিটের আদলে শিক্ষাপাতা বের করতে শুরু করলো নিয়মিত। একবার পরীক্ষার ফল বের হলে জনকন্ঠে একটি ভিন্ন শিরোনাম করলো ‘এবার ফেলের হার ৭০ শতাংশ’। পাসের হার চব্বিশ ত্রিশ পঞ্চাশ ষাটে ঘুরপাক খেত অল্পকিছুদিন আগেও। ক্রমান্বয়ে শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে থাকেলো, পাসের হার বাড়ানোর সাথে সরকার বা রাজনীতির সম্পর্কও পরিলক্ষিত হলো। পাসের হার বৃদ্ধি মানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এমন ধারণা দেয়া শুরু হলো। অবজেকটিভ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা বা পরে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা বেশ প্রশংসার সাথে গৃহীতও হলো। পাশাপাশি পাঠ্য বইয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাস ধ্বংস বা ইতিহাস জুড়ে দেয়া খেলাও চলতে থাকলো ধারাবাহিকভাবে, কোনো সত্য সুরাহা হলো না আজও (বর্তমানে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লেখা নিয়ে চেষ্টা চলছে, হয়তো শিগগির হয়েও যাবে)।

পাস ফেলের হার কম বৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তিরও কোনো সুরাহা হলো না। এখন পাসের হার একশ’র কাছাকাছিও দেখা যায়। অনেকেই জিপিএ ফাইভ পায়, পাচ্ছে গোল্ডেন এ বা এ প্লাস। কিন্তু এটা নিয়ে কেন জানি  কেউই স্বস্তিতে নেই।

যে সকল শিক্ষক এদেরকে পড়ান তাঁরা এদের গড় মান নিয়ে একদম সন্তুষ্ট নন, শিক্ষার্থীরাও ভার্সিটি মেডিকেল বুয়েট ভর্তি নিয়ে এত টেনশনে থাকে যে অভিভাবকগণ শুধু ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিংয়ের দারস্থ হন তা নয়, অনেক সময় ভর্তি করানোর অবৈধ পথও অনুসরণ করে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন করে পরীক্ষা পদ্ধতিকে আরও নিষ্কলুষ করবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে প্রতিনিয়ত। তারপরও পদ্ধতি ফাঁকি দেয়ার লোকের অভাব নেই। শোনা যায়, অবৈধ ভর্তি প্রক্রিয়ায় গোপন সিন্ডিকেট চালু থাকার কথা।

প্রায়শ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য নানা তদবিরের মুখোমুখি হতে হয়। এলাকার অভিভাবকগণ ধর্ণা দেন, তাঁরা আমাদেরকে অনুরোধ করেন। আমরা না করলে বুঝতে চায় না তাই না করতেও পারি না। দেখবো বলে কথা দেই আর দেখতে চাই না, পারি না। দেখা সম্ভব না। নীতিতে তো নয়ই, পরীক্ষা পদ্ধতির কারণেও নয়। কিন্তু না করলে তারা শোনে না, এলাকায় আমাদের ইজ্জত থাকে না, আমি তাহলে কিসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার!

ওপাড়ার হাফিজুল ভাইয়ের ছেলে ছাত্রনেতা। তাঁকে ধরা হয়, টাকা দেয়া হয়, হয়তো কিভাবে কিভাবে ভর্তিও করানো হয়। এগুলো খুব একটা প্রকাশিতও হয় না, এতই নগণ্য যে প্রকাশ না পেলেও সমস্যা হয় না। অনেকে মাষ্টার্সে এসেও ভূয়া ভর্তির জন্য সার্টিফিকেট পায় না, এমনও হয়। কেউ হয়ত পারও পায়। সে যাই হোক। এখন সমস্যার গভীরতা অন্য জায়গায়।

খালি চোখে বিষয়টা হলো এবার ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে পাশের হার অনেক কম এবং ঢাবি’র ইংরেজী বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মাত্র দুই জন। যা হবার, সবাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। লেখালেখি আলোচনা সমালোচনা চলছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- ‘এটা পরীক্ষা পদ্ধতির গলদ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর কথা মেনে নেয়নি, অস্বীকার করেছে। সমালোচকগণ বলছেন, প্রাইমারিতে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়, যাই লিখুক, পাস করিয়ে দেবেন। কেউ বলছে খাতায় না লেখা থাকলে অনেক সময় লিখে পাস করিয়ে দিতেও বলা হয়ে থাকে। মুখ্য বিষয় হলো পাস বাড়ানো। আবার পাস যে বেড়েছে, সবাই গোল্ডেন ফাইভ পাচ্ছে, এটাও সত্যি। কিন্তু মান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন এটা কৃত্রিম সংকট। ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম বদলাতে হবে। কথা হলো নিয়ম তো প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। পাশাপাশি সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হচ্ছে বলে জোর গুজব ও সত্যি দুটোই প্রমাণিত হয়েছে। কোনও সরকারই গুজব-সত্যি কোনটাকেই আমলে নেন নাই, এটাই সত্যি।

কাজেই পাশের হার বৃদ্ধিও এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে পাসের হার বাড়ানোর এ প্রতিযোগীতা অসুস্থ। এটা করে সরকারগুলো বাহবা নেয়ার, ভোট পাওয়ার চেষ্টা করে আসছে। এটা অচিরেই বন্ধ হওয়া দরকার। আর না হলে শিক্ষা প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা দক্ষ, স্বনির্ভর ও সৃজনশীল শিক্ষক, গবেষক ও কর্মী পাবো না। চাকুরী পাওয়ার জন্য প্রশ্নফাঁস চক্র বাড়তেই থাকবে, অর্থকড়ি ও রাজনীতির হিসাবও মুখ্য হয়ে পড়বে। জাতির আশা ভরসা নামক ছাত্রসমাজ দেশকে কিছুই দিতে পারবে না, দেশ স্বাধীন হলেও পরমুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হবে।

আমাদের দেশে স্বনির্ভর ছাত্রের অনেক প্রচলিত গল্প ও কিন্তু আছে। আমাদের এনায়েত স্যার নামক একজন কলেজ শিক্ষক এ গল্পটা বলেছেন- ‘একবার পরীক্ষার হলে আধা ঘণ্টা লেটে এক পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে চাইলে দারোয়ান তাঁকে আটকে দেয়। কিন্তু পরীক্ষার্থী নাছোড়বান্দা, সে ঢুকবেই। যথা সময়ে না আসলে ঢুকতে দেয়ার নিয়ম না থাকায় দারোয়ান প্রিন্সিপালকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি নিজেই গেটের কাছে আসেন এবং ওপাশ থেকে জানতে নতে চান- হু আর ইউ? ছেলেটি স্পষ্টস্বরে বলেন, আই অ্যাম দি দি গৌরি শঙ্কর, স্যার। প্রিন্সিপাল সাহসী ছেলেটাকে পরীক্ষা দিতে অনুমতি দেন। কিন্তু পরীক্ষারে ফলাফলে তাঁর কোনো নাম না থাকায় ছাত্রটিকে নিয়ে আবার জটিলতা শুরু হয়। সে চ্যালেঞ্জ করে যে বোর্ডে প্রথম হবার কথা তাঁর, কিন্তু কেন সে ফেল করলো? খাতা পরীক্ষা করে দেখা গেলো সে মাত্র একটা প্রশ্নের উত্তর করেছে। তাঁকে ব্যাখ্যা চেয়ে ডাকা হলে সে উত্তর দিলো, ওখানে শুধু একটা প্রশ্নই তার জন্য ছিলো। কারণ পরীক্ষায় সেই প্রশ্নটিই ভুল ছিলো, সে সেটা ঠিক করে দিয়ে উত্তর করেছে। বাকীগুলো তো সাধারণের জন্য ওগুলোর উত্তর তার করার কথা নয়। যাচাই করে সত্যিই বোর্ডের সে প্রশ্নে ভুল পাওয়ার পর সবাই তাজ্জব বনে গেলো। ’

আমি সত্যি জানি না এমনটা হয়েছিলো কি না তবে এও শুনেছি মেঘনার ঢল কবিতার লেখক হুমায়ূন কবীর পরীক্ষার আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বোর্ড পরীক্ষায় যদি এবার কেউ ফাস্ট হতে চাও আগামীতে পরীক্ষা দাও। কারণ এ বছর হুমায়ুন পরীক্ষা দিবে। কিন্তু যেটা আমার শোনা নয়, দেখা…. সেটার গল্প তো করতেই পারি- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়ে আমার বাসায় এলাকার একটা ছেলে থাকতে এসেছে কিছুদিনের জন্য। আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে একটা চিঠি লিখতে বললাম। সে যা লিখেছে তার প্রথম লাইন এরকম- ‘ডিয়ার নাহিদ, এ্যাট ফাস্ট আই টেক মাই সালাম’।

আমি না হয় হাসতে হাসতেই শেষ কিন্তু আপনারা! ফেলের হারটা একটু বাড়ানো যায় না, প্লিজ!

রাজীব মীর
লেখক: সহকারি অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।