ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

'সংসদে যাবো রে'

এস. এম. মাসুম বিল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪
'সংসদে যাবো রে'

১.
রাশান লেখক আন্তন চেখভ  আমাদের জানাচ্ছেন শৈশবে তাঁর কোনো `শৈশব’ ছিল না ! আমি জানি শৈশবে আমার অবস্থা চেখভের চেয়ে ভালো কিছু নয়।   তবু বলতে হবে আমার একটা শৈশব ছিল।

  ধূলিমাখা রাস্তা, গাছ থেকে ঢিল দিয়ে আম পেড়ে  খাওয়া, কিংবা মধ্য দুপুরে গ্রাম্য পুকুরে নেমে পানি ঘোলা করা ইত্যাদি স্মৃতি থাকলে 'শৈশব' হতে আর লাগে কী? কিন্তু শৈশব-এর ভণিতা করছি ভিন্ন এক কারণে।

১৯৯১ সাল হবে।   আমি সবে তখন প্রাইমারি শেষ করে মাধ্যমিক স্কুলে পা দিয়েছি। ওই সময়ে দেশে সধারণ নির্বাচন হয় । পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তখন রাজনীতি বা সরকারের কিছুই বুঝি না । আমার ধারণা ছিল, যিনি রাজা বা প্রেসিডেন্ট হোন তার নামই বোধ হয়  'এরশাদ' হয়।   এক কথায় মনে হতো 'এরশাদ' কে 'রাষ্ট্র' বলে।  

বড় হয়ে  শুনেছি ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই নাকি বলতেন 'আমিই রাষ্ট্র!’ চূড়ান্তবাদের বড় অদ্ভুত উদাহরণ।   পানিতে আর্সেনিক এর মাত্রা  বেশি হয়ে  গেলে যেমন তা ক্ষতিকর  হয়, এরশাদের একনায়কতন্ত্রের মাত্রা তেমনি বেশি হয়ে পড়েছিল।   নিজেকে যদি ওই প্রজন্মের একক ধরি, তাহলে বলতে হবে 'ক্ষমতা' সম্পর্কে আমরা একটা চরম ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি। ক্ষমতার ধারণার এমন প্রজমান্তর পরিশীলিত গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে সাহায্য করে না— তা বলাই বাহুল্য।

যাই হোক, সেই বালকবেলায় নির্বাচনের মিছিল আমাকে খুব টানতো। আমি রবীন্দ্রনাথের অমল  ছিলাম না, দইওয়ালার হাঁক যাকে ভাবান্তর করতো। কিন্তু অমলের চেয়ে বেশি বিদ্রোহও আমার ধাতে নেই।   আমি না প্রেমিক, না বিপ্লবী!  বাড়ির পাশ দিয়ে ধাবমান যুবকদের উদ্যত মিছিল আমাকে ভাবাত।   সেই সময়কার মিছিলের একটা শ্লোগান আমার মনে আজও বাজে:  যাবো, যাবো, যাবো রে ...সংসদে যাবো রে। আসাদ ভাইয়ের ঘাড়ে চড়ে...সংসদে যাবো রে। ’

আমি ভাবতাম মানুষগুলো এতদূর থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় অবস্থিত সংসদ পর্যন্ত কেমন করে যাবে? তারা কি আসলেই সিরিয়াস? নাকি মজা করছে? আর যদি ওদের ঢাকা যাওয়ার প্রতিজ্ঞা সত্যও হয়, তাহলে এতোগুলো মানুষ তাদের 'আসাদ ভাইয়ের' ঘাড়ে চড়বে কেমন করে? এই শ্লোগান অবশ্য পরে আর কোনো নির্বাচনে আমি শুনতে পাইনি।   হয়ত হয়েছে, আমি শুনিনি। স্বপ্ন হয়তো মরে, আকাঙ্ক্ষা মরে না, এর রূপান্তর হয়।   মানুষের সংসদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গণতন্ত্র ও সংবিধানের ভাষায় 'প্রতিনিধিত্ব’ বলে।  

২.
কলেজে পড়ার সময় কিছু দেয়াল লিখন আমাকে টানত।   যেমন, ‘এসো শান্তির সাহসী সৈনিক শতাব্দীর বিক্ষুব্ধ মিছিলে’ বা ‘শহীদ রিমুর রক্তাক্ত শার্ট আমাদের আদর্শের পতাকা’, কিম্বা ‘বুলেট নয়, ব্যালট-ই সকল ক্ষমতার উত্স’। কিছু ধাক্কা খাওয়া, কিন্তু মজার শ্লোগানও ছিল, যেমন: ‘গণতন্ত্রের মাতৃগর্ভে এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের প্রসব বেদনা শুরু হযেছে’ (সেই একই এরশাদ , শুধু সময় পাল্টেছে !) । কিন্তু যেটা ভ্রান্তির সৃষ্টি করত তা হলো ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উত্স’ কথাটার প্রবক্তা হিসেবে বিবদমান ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের নেতা/নেত্রীর নাম চালিয়ে দিত। ভাবতাম 'জনগণ'-টা কে? আমি কি জনগণ না অ-জনগণ ?

বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ছাত্র হলাম।   সংবিধান পড়তে গিয়ে ৭নং অনুচ্ছেদে চোখ  আটকে গেল। ‘জনগণই  সকল ক্ষমতার উত্স’... ‘জনগণের ইচ্ছার অভিপ্রায় রূপে এই সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন’।   ১১নং অনুচ্ছেদ বললো, ‘জনগণের ইচ্ছা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে  প্রযুক্ত হবে। ’ বুঝলাম কৈশোরে শোনা সেই মিছিলের মাধ্যমে মানুষগুলো কি বলতে চেয়েছিল। মানুষগুলো জানতো তারা সবাই সংসদে এসে বসতে পারবে না।   অনেকের আসার টাকাও হয়তো নেই।   সবাই একসঙ্গে আসলে শৃঙ্খলাও রাখা যাবে না।   তাই তারা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদে আসতে চেয়েছিল।   সেটাকেই তারা বলেছিল ‘ঘাড়ে চড়ে সংসদে যাব রে’।

ভোট দেওয়ার মাধ্যমে তারা তাদের 'প্রতিনিধির ' উপর আস্থা রাখবেন।   একটা 'ট্রাস্ট' সৃষ্টি হবে, যেখানে সেই মানুষগুলো ট্রাস্ট সৃষ্টিকারী, আর সংসদ সদস্য হলেন 'ট্রাস্টি'। আইন না পড়েও সেই মানুষগুলো আমার আগেই সংবিধান জেনে বসে আছেন! অবাকই লাগলো।   কিন্তু 'অ ' ছেড়ে 'বাক' ফিরে পেলাম সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রথম ও শেষ চরণে: ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণ...আমাদের কে এই সংবিধান দিলাম’! কার অছিলায় শিরনি খাইলাম মুন্সী চিনলাম না !

৩.
একটা সরল প্রশ্ন আমরা জাতি হিসাবে অনেকদিন উপেক্ষা করেছি।   সংসদের উদ্দেশ্য ও কাজ কি? এই কাজ কিভাবে সম্পন্ন হয়? এখানে 'সম্পন্ন' হয় মানে 'নিষ্পন্ন' হয়  বুঝাচ্ছি না।   'সম্পন্ন' মানে পূর্ণাঙ্গ হয়। সংবিধানের বই বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অভিধান বলছে সংসদের কাজ তিনটি : প্রতিনিধিত্ব, আইন প্রনয়ণ ও যাচাই।   আইন প্রনয়ণ করে বলে আমরা সংসদকে আইন বিভাগ বলি। নির্বাহী বিভাগের কাজ পর্যবেক্ষণ করে বলে একে আমরা ‘ওয়াচডগ’ বলি।   কিন্তু ‘প্রতিনিধিত্ব’ হিসেবে সংসদের কাজকে আমরা নিরাকার জ্ঞান করি। অথচ সংসদ জীবনচক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রতিনিধিত্ব, কেননা এর ওপরে অন্য কাজ দুটোর গুণগত মান নির্ভর করে।  

‘প্রতিনিধিত্ব’ প্রস্ফুটিত হয় আর একটা কাজের মাধ্যমে, সংবিধান বুঝমানরা যার নাম দিয়েছেন ‘ডেলিবারেশন’। বলাই বাহুল্য যে, এখনকার সংসদে বক্তৃতা হয়, 'ডেলিবারেশন' হয় না। তাই ভালো মানের আইন বাজারে পাওয়া দুষ্কর।   ফ্রান্সিস বেনিঅন এই দিকে ইঙ্গিত করে একটা মজার ছড়া কেটেছিলেন, যা আমাদের এ সময়েও যথেষ্ট মানানসই:
I'm the parliamentary draftsman
I compose the country's laws
and  for half of the litigation
I'm undoubtedly the cause!

কিছু ভালো কথা কয়েকজন যে বলছেন না তা নয় । জুনাইদ পলক বা শাহরিয়ার আলম কিম্বা তারানা হালিমের বক্তব্য শুনতে বিরক্ত লাগে না। কিন্তু আলাদা যে একটা টিভি চ্যানেল হলো, শুধু সংসদ-এর কার্যক্রম প্রচারের জন্য, তার সম্মান কি সংসদের সদস্যবৃন্দ রাখতে পেরেছেন বা পারছেন? নাকি পাবলিক মনস্তত্বে যে 'ভ্রান্তি বিলাস' আছে তার সুযোগ নিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে বাহবা নিতে প্রলুব্ধ হন?

সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা আবার ধার করে বলি: ‘বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য’। 'পলিটিক্স অফ কন্সটিটিউশানিজম' এর কাছে 'পলিটিক্স অফ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট'-এর পরাজয় ঘটেছে, কিন্তু মার খেয়েছে 'কন্সটিটিউশানালিজম'

৪.
দশম সংসদে 'প্রতিনিধিত্ব'-এর স্বরূপ সংকট অনুমেয়। আমার ধারণা মোটামুটি চারটি বিষয় সংসদের মূল কাজ 'প্রতিনিধিত্ব'-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।  
প্রথমটি হচ্ছে  সংসদ সদস্যেদের বিশাল একটা অংশ জানছেন না তারা ঠিক কাদের 'প্রতিনিধিত্ব' করছেন। জানলেও তারা ঠিক আরাম বা  আস্থার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে মনে হয় না।   ১৫৪ জন এই সংসদে 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী'য় 'নির্বাচিত' । তাই আইনের অক্ষরে বৈধ হলেও গণতন্ত্রের ক্যানভাসে এর প্রভাব সূদুরপ্রসারী। জনগণের সঙ্গে তাদের 'ট্রাস্ট' তৈরি না হওয়ায় তাদের ‘প্রতিনিধিত্ব’ বিনা সুতায় গাঁথা। আমার মনে হয় ১৯৭২-এর  'রিপ্রেজেন্টেশন' অর্ডার এই 'হোলসেল' 'রিপ্রেজেন্টেশন'-কে চিন্তায় নেয়নি। আমি জানি যে, সরকারের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না করে উপায় ছিল না। আমি এও মনে রাখছি যে, অনেক রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচন বর্জন করেছে। একসময় 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত' হওয়া কৃতিত্বের ব্যাপার ছিল। সময়ের আবর্তে এর অর্থের পরিহাসমূলক দ্যোতনা তৈরি হয়েছে । এই অবনমন আওয়ামী লীগের জন্য যতটা গ্লানির, বিএনপি-র জন্য তার চেয়ে বেশি কিছু কৃতিত্বের নয়।

সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা আবার ধার করে বলি: ‘বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য’। 'পলিটিক্স অফ কন্সটিটিউশানিজম' এর কাছে 'পলিটিক্স অফ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট'-এর পরাজয় ঘটেছে, কিন্তু মার খেয়েছে 'কন্সটিটিউশানালিজম'।   সাংবিধানিক গণতন্ত্রের  শিক্ষক ভাল্টার মারফি কন্সটিটিউশানিজম এবং কন্সটিটিউশানালিজম-এর মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছেন। কন্সটিটিউশানিজম হলো সংবিধানের লিখিত অক্ষর এর উপর জোর দেয়া। কিন্তু কন্সটিটিউশানালিজম এর চেয়ে বেশি কিছু দাবি করে।

এর মানে হলো মানবসত্ত্বার মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার নীতিমালা এবং সেগুলো থেকে সৃষ্ট দায়ের প্রতি একাত্মবোধ। আমরা সবাই মারফি না বুঝলেও এটুকু বুঝি সামগ্রিকভাবে আমাদের যাত্রা ১৯৯১-এর 'সংসদে যাবো রে' (সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা) কে ম্লান করে দিয়েছে।
 
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো 'প্রতিনিধিত্বের' ধরনের চেহারা বদল।   আমার ধারণা এমন একটা সময় আসবে আমরা আর এলাকাভিত্তিক আসন বিন্যাসের দিকে জোর দেবো না। ই-ডেমোক্রেসি আমাদের-ই-করে ফেলবে। ই-ডেমোক্রেসি-র উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে এলাকাভিত্তিক আসন বিন্যাসের জায়গায় ইস্যু/কারণ ভিত্তিক আসন জায়গা করে নেবে। একজন এম.পি. তার আগ্রহের বিষয় অনুসারে পরিচিত হবেন। যেমন, 'জাতীয় সংসদে ভাগচাষীদের অধিকার রক্ষা' বিষয়ক এম.পি. ইত্যাদি ইত্যাদি।

বস্তুত, এরই মধ্যে আমরা কারণভিত্তিক আসন বিন্যাসের দিকে অবচেতনে বা রূপকভাবে ঝুঁকে পড়েছি।   যেমন এলাকা-ই যদি প্রধান হতো  তাহলে শিরীন শারমিন চৌধুরী রংপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারতেন না, কিম্বা আগের সংসদে মওদুদ আহমেদ বগুড়া থেকে নির্বাচিত হতে পারতেন না । এই বিষয়টি এই আলোচনায় প্রাসঙ্গিক কিভাবে?

'আনকন্টেসটেড' এম.পি.-বৃন্দ 'প্রতিনিধিত্বের' এই পরিসরটিকে কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলেও তাদের বিষয়ে সমালোচনার ভার অবমুক্ত করতে পারেন।   চ্যালেঞ্জ বটে, নয় কি?

তৃতীয়ত: মিডিয়া, পার্লামেন্ট-কে 'সাইড-শো'-তে পরিণত হওয়ার বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।   স্যার জেফ্রি পামার ক্ষণকাল নিউজিলান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন (১৯৮৯-১৯৯০)। তাকে বলা হতো 'রাজনীতির কর্দমায় অন-অভ্যস্ত সরস পাখি'! একটা কাজ তিনি অবশ্য করে যেতে পেরেছিলেন: তা হলো নিউজিলান্ড পার্লামেন্ট-এ 'আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব' নীতি চালুকরণ।   যাহোক, পামারের কথা টানলাম পার্লামেন্টের ওপর মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে তার উক্তির জন্য। মিডিয়ার এই বিজয়কে স্যার জেফ্রি নাম দিয়েছেন 'টেলিক্রাসি'। 'টেলিক্রাসি'-তে ডেমোক্রেসি হয় না। বাংলাদেশে এখন বিবিসি সংলাপ, টক-শো, ব্লগিং মানুষের কাছে সংসদীয় প্রজ্ঞা থেকে শ্রেয়তর মনে হচ্ছে। কে জানে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জাপান ও চীন সফর শেষে দুটো সংবাদ সম্মেলন সেই প্রবণতার  কাছে আত্ম-নিবেদন কি-না!

পার্লামেন্ট-এর ক্রমহ্রাসমান ইমেজ সংকট রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গকে ভারসাম্যহীনতায় ফেলে দিয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ সমকক্ষ হলেও, প্রত্যেকটা অঙ্গ নিজেকে শক্তশালী মনে করে।   ব্যাপারটা হযেছে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর 'রথযাত্রা' কবিতার বক্তব্যের মত: ‘রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম/পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব—হাসে অন্তর্যামী। ’

 

লেখক : শিক্ষক, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ মুহূর্তে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনে উচ্চ শিক্ষারত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।