ঢাকা: হাসপাতালগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা এ কাজে স্বচ্ছতা আনবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই আদেশের ফলে এখন একটা সিস্টেমেটিক ওয়েতে যাওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভিডের সময় ও পরবর্তীতে হাসপাতালগুলোতে অরাজকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান চলমান ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নোটিশ জারি করে যে, তাদের অনুমতি ছাড়া অভিযান পরিচালনা করা যাবে না বা তাদের সাথে নিয়ে অভিযান চালাতে হবে। এরপর থেকে অভিযান বন্ধ আছে। এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল অনুমোদিত না হলে আইনে কী হয় সেগুলো আপনারা সবাই জানেন। অনুমোদন ছাড়া হাসপাতাল যেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেগুলো আইডেন্টিটফাই করে ধরার চেষ্টা করছে।
‘আমাদের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আসছে, সেটা হলো যখনই কোনো হাসপাতালে অনিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযানগুলো চালানোর কথা। আমি মনে করি এতে কোনো অসুবিধা হবে না। অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। আমরা (হাসপাতালের অনিয়ম সম্পর্কে) জানার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন যোগ্য প্রতিনিধি নিয়ে অভিযানটা চালাবো, এই ধরনের নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসছে। আমি মনে করি আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে অভিযানগুলো চলবে এই আদেশের বলে। ’
মাদক নিরাময় হাসপাতালগুলোতে অভিযানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে আমরা চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করি। ডিমান্ড হ্রাস, (মাদকের) ডিমান্ড হ্রাস করার জন্য আমরা সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান করছি। কুফল সম্পর্কে জানাচ্ছি। (মাদকের) সাপ্লাই হ্রাস করা, সাপ্লাই হ্রাস মানে যাতে করে বর্ডার দিয়ে মাদক না আসে কিংবা এসে পড়লে বিভিন্ন কায়দায় যে জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেই সাপ্লাই হ্রাস টানার আমরা ব্যবস্থা করছি। আমরা হার্ম হ্রাস, যারা মাদক আসক্ত হয়ে যাচ্ছে তাদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টায় আছি। এজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কিছু হাসপাতালকে চিহ্নিত করে দিয়েছে, যে এই হাসপাতালগুলোর এই চিকিৎসা করবে। তবে তারা চিকিৎসায় যদি অনিয়ম করে, ডাক্তার নেই, চিকিৎসা চালাচ্ছে, কোনো যন্ত্রপাতি নেই, সুযোগ সুবিধা নেই চিকিৎসা চালাচ্ছে এই ধরনের হলে সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থাও আমরা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি