ঢাকা: মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইন মেনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন, যদি এই মামলায় প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে কুয়েত থেকে দেশে আনা হবে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় দুদক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।
দুদক কমিশনার বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেনে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার শ্যালিকার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিং- এই দুই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর বাকিদের অবৈধ সম্পদ আছে কিনা, তা জানতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে মামলা দায়ের করা হয়।
তাদের আটক করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আটক করা হবে।
এমপি পাপুলের বিদেশের সম্পদের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান।
এমপি রতনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি। আমরা দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
টিএম/এএ