নীলফামারী: ট্রেন বহরে (র্যাক) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পাওয়ার কার। যা চালানো হয় জ্বালানি তেল দিয়ে।
ওই প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (সিইই) মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে তেল চুরি রোধে প্রণোদনা বা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পাওয়ার কার অপারেটর ও অন্যান্য কর্মচারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পাওয়ার কার পরিচালনায় নিয়োজিতরাই তেল চুরি বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ট্রেন চলাচল শেষে সাশ্রয় হওয়া অবশিষ্ট জ্বালানি প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রতি মাসে পাওয়ার কার পরিচালনায় নিয়োজিত চালকদের ফেরত দেওয়া তেলের হিসাব পৌঁছে দেবেন ওই কর্মকর্তা। এসব যাচাই বাছাই শেষে সাশ্রয়ের ভিত্তিতে তিনজন পাওয়ার কারচালককে প্রণোদনার জন্য নির্বাচিত করা হবে। যাদের হাতে রাজশাহী রেল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণোদনার টাকা তুলে দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর)। তিনি বলেন, পাওয়ার কার থেকে তেল চুরি বেড়ে গেছে। ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তেল চুরি রোধে যারা সাহায্য করবেন, তাদের প্রণোদনা দেওয়ার। এ পদক্ষেপকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি আমরা। এতে করে রেল চলাচল আরও গতিশীল এবং জবাবদিহিতামূলক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসআই