সিলেট: ‘সিগন্যাল খেয়াল না করায়’ সিলেটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ও পাহাড়িকা এক্সাপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য মানুষের ভুল ছিল, না-কি সিগন্যালের ভুল? তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে কমিটির সদস্যরা সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রকৌশলী ও যান্ত্রিক প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ পয়েন্ট ম্যানের ভুলের কারণে হতে পারে। হয়তো সঠিক লাইন দিতে পারেননি।
লোক স্বল্পতার বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, পয়েন্ট সেট না করে, না-কি চালক সিগ্যনাল ভুল করেছেন, সেটি খতিয়ে দেখে খুব শিগগিরই প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি।
সিলেট রেলস্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল দেওয়া ছিল। তা অমান্য করা হয়েছে। মানুষের ভুলে (হিউম্যান মিস্টেক) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে রেলওয়ের চারটি ইউনিটের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট রেলস্টেশন ডকইয়ার্ডে ওয়াসপিটে পাহাড়িকা ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি একই লাইনে ঢোকে পড়ে। এ ঘটনায় পাহাড়িকার দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এছাড়া এ কারণে সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ও ১১টা ১৫ মিনিটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ট্রেন উদ্ধারে প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এনইউ/টিএ