ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিসমিল্লাহ দধি ভাণ্ডারকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
বিসমিল্লাহ দধি ভাণ্ডারকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: গাওয়া ঘিয়ে খাদ্যমান ঠিক না থাকায় ঢাকার বিসমিল্লাহ দধি ভাণ্ডারকে চারলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশও দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

এছাড়া নিউ মরণ চাঁদ গ্র্যান্ড অ্যান্ড সন্স’র রসগোল্লা নিম্নমানের হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব সোবহানী কয়েকটি মামলার শুনানি ও রায় দেন।



দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক (স্যানেটারি ইন্সপেক্টর) মোহা. কামরুল হাসান বিভিন্ন সময়ে নমুনা সংগ্রহ ও মামলাগুলো দায়ের করেছিলেন।

বিসমিল্লাহ দধি ভাণ্ডারের মালিক জসিম উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করেন। তবে তিনি আগে জামিন নিয়েছিলেন।

গাওয়া ঘিয়ে সাবানীকরণ মান ন্যূনতম ২২০ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও ছিল ২১৮.২৬ শতাংশ। এছাড়া অম্লতামুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ২ শতাংশের জায়গায় ছিল ১.১৩ শতাংশ।

মোহা. কামরুল হাসান গত ২৮ এপ্রিল ডি/৬৬ শান্তিনগর বাজার, দোকান নং-১৩ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনস্বাস্থ্য খাদ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে মানহীন ঘোষণা করা হয়।
 
১১ পুরানা পল্টনের নিউ মরণ চাঁদ গ্র্যান্ড অ্যান্ড সন্স’র রসগোল্লা নিম্নমানের হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক গৌতম কুমার দাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুধের চর্বি ১০ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৪.৫৭ শতাংশ। তবে ম্যানেজার আনন্দ সাহা আদালতে উপস্থিত হলে তিনি জামিন পান। গত ২১ জুলাই নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

রাঁধুনী স্পেশাল গাওয়া ঘিয়ের খাদ্যমান ঠিক না থাকায় উৎপাদনকারী রাজধানীর ২২৬/মালিবাগের প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজকুমার সরকারের উপস্থিতিতে মামলার শুনানি হয়। অভিযোগ গঠন হবে ১১ জানুয়ারি। ভেজাল গাওয়া ঘিয়ের সাবানীকরণ ছিল ২১৩.৪৯ শতাংশ। অম্লতামুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ছিল ০.৫৩ শতাংশ। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৮ এপ্রিল।
 
মুসলিম সুইটস কারখানার গাওয়া ঘিয়ে সাবানীকরণ মান ছিল ২১৪.০৫ শতাংশ। অম্লতা মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ছিল ০.৪৯। এই মামলার অভিযোগ গঠন হবে ১০ জানুয়ারি। ১/১ শান্তিবাগের এ প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি আগেই কোর্ট থেকে জামিন নেন। ২১ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
 
ফরিদপুরের জনপ্রিয় দধি ভান্ডারের গাওয়া ঘিয়ে সাবানীকরণ মান ছিল মাত্র ২০৭.১৩ শতাংশ, ন্যূনতম ২২০ শতাংশ থাকার কথা। এছাড়া অম্লতা মুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ০.৮৬ শতাংশ ছিল। নমুনা সংগ্রহ ২৮ এপ্রিল।
 
সি/১১, শান্তিনগর বাজারের বিক্রয়কারী এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজি মো. আব্দুল হাই মাতবরের উপস্থিতে শুনানি হয়। অভিযোগ গঠন ১০ জানুয়ারি।

নিরাপদ খাদ্য আইন গতবছর সংসদে পাসের পর চলতি বছর থেকে মামলা করার ক্ষমতা পায় সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।