ঢাকা, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

রাজশাহী: বগুড়ায় গিয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হওয়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন।

আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা কোনো অভিযানে যায়নি। কাউকে জানিয়েও যায়নি। নিজের ইচ্ছায় গিয়েছিলেন।  আটকদের নামে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তাই সোমবার বিকেলে তিনি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ ঘটনা তদন্ত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই পুলিশ সদস্য হলেন, আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে মেহেদী হাসান নামের এক মাইক্রোবাসচালককেও আটক করা হয়েছে। তার মাইক্রোবাসে সবাই বগুড়া যান।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, ওই পাঁচ পুলিশের সবাই ডিবিতে কর্মরত ছিল। তিনি রোববার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসে ছিলেন। তারা তাকে কিছু জানিয়ে বগুড়া যাননি। ওখানেন কেন গেছেন তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

বগুড়া জেলার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করেন। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালককেও আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকি-টকি জব্দ করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানিয়েছেন, পুলিশের এই পাঁচ সদস্য রোববার বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামের দুই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করেন। এরপর মাইক্রোবাসে তুলে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরে গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষি করে নগদ দুই লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। এরপর বগুড়া জেলা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানা এলাকায় মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। পরে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচজন নিজেদের আরএমপির গোয়েন্দা শাখার সদস্য পরিচয় দেন। পরে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা কাউকে না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশে বগুড়ায় এসেছেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।