মানিকগঞ্জ: ঈদুল ফিতরের বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মহাসড়কসহ ঘাট পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
জানা যায়, দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুট পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরেন। এবারের ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পয়েন্টের ৩, ৪ ও ৫ নম্বরসহ সব কয়েকটি পন্টুন প্রস্তুত করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত যে কয়েকটি পন্টুন আছে সব কয়েকটিতে ফেরি লোড-আনলোড হবে এবং তার সব কয়েকটি পকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৭টি ফেরি নিয়োজিত থাকবে। অপরদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে আরো ৫টি ফেরি চলাচল করবে। ঈদে ঘরমুখো যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের ফেরিতে কোনো ধরনের ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে মেরামতের জন্য পাটুরিয়া’র ৫ নম্বর পন্টুনে অবস্থিত ভাসমান কারখানা মধুমতী প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া কাটাগাড়ীর যাত্রীদের জন্য পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে মোট ৩৩টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটির দিন থেকে জরুরিসেবায় নিয়োজিত পণ্যবোঝাই ট্রাক ছাড়া সকল ধরনের সাধারণ ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।
লঞ্চমালিক সমিতির ম্যানেজার পান্নালাল নন্দী বলেন, এমনিতেই এ রুটে তেমন একটা যাত্রী আসে না। তবে ঈদকে সামনে কিছু যাত্রী আসবে। তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্বিঘ্নে নৌ-পথ পারাপারের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র পাটুরিয়া ফেরিঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ঈদে ঘরমুখো যানবাহন ও মানুষকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারের জন্য আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের যে সকল মানুষ এই নৌ-রুট দিয়ে যাবেন তাদের জন্য ১৭টি ফেরি পারাপারের কাজে নিয়োজিত থাকছে। এছাড়া জরুরিসেবায় নিয়োজিত ট্রাক ছাড়া বাকি সকল ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকছে। আমরা আশা করছি এবারের ঈদে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নৌপথ পার হতে পারবে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুজন সরকার বলেন, এই ঈদে যাতে অজ্ঞানপার্টি বা মলমপার্টির লোকজন কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আমাদের ভ্রাম্যমাণ টহল সর্বদা তৎপর থাকবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, তার জন্য পুলিশের কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে। ঈদে নির্বিঘ্নে রাস্তায় চলাচল করতে পারে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড.মনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যানচলাচল সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। এছাড়া ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে পাটুরিয়া ও আরিচা দুটি ঘাটে সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসএএইচ