যশোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়িতে ছুটে যান বিএনপি নেতারা। তারা ওই তরুণীকে আইনি সেবাসহ সব সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
নেতারা ঘোষণা করেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের পক্ষে বিএনপিপন্থি কোনো আইনজীবী অবস্থান করবেন না।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার পল্লিতে ওই নারীর বাড়িতে যান বিএনপির নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর জেলা সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এবং সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
এসময় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীও নেতাদের সঙ্গে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়েছিলেন।
গত রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ওই তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
খবর পেয়ে ঝিকরগাছা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে এবং এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ওইদিন সন্ধ্যায় চারজনকে আটক করে। আটকদের মধ্যে গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন বাপ্পি ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত রয়েছেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যশোর জেলা বিএনপিকে নির্দেশ দেন ধর্ষণের শিকার তরুণীর পাশে থাকার। সেই নির্দেশের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে নেতারা তার বাড়িতে যান।
পরে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুণীকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের কোনো দলীয় পরিচয় দেখা হবে না। আটক চারজনের পক্ষে বিএনপিপন্থি কোনো আইনজীবী থাকবে না অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে কঠোর অবস্থানের কথা তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
আরএ