ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কিছু দালাল কাজটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। দালালি কাজে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও পুনরায় ছাড়া পেয়ে এ হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে থাকেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরের দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে আশপাশে কিছু সংখ্যক লোক বসবাস করেন। এ কিছুসংখ্যক মানুষ হাসপাতালে এসে রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করে থাকেন। এর আগেও তাদের অভিযানে ধরা হয়েছিল। সেসব অভিযানে তাদের শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা পুনরায় আবার বেরিয়ে হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে তাদের দালালি কাজ অব্যাহত রাখের, এতে বুঝা গেল তারা এ দালালি কাজটা পেশা হিসেবে নিয়েছে। এদের নির্মূলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আজকে এ দালাল নির্মূলে এনএসআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমর্থন আছে। অভিযানে আটক কয়েকজনকে যাচাই-বাছাই করে ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এখানে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন ও স্থায়ী দুই একজন এসব কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। আমরা আজকে দৈনিক মজুরিতে যারা দালালি কাজে জড়িত প্রমাণ পাব তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে। এছাড়া যারা পার্মানেন্ট স্টাফ আছে দুই একজন তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালে দালাল নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে সূত্রে জানা যায়, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানির ঘটনায় নারী পুরুষ মিলে ৩৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ জরিমানা করা হয়।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের গোপন তথ্য ও নজরদারিতে এ যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আফরিন জাহান।
এসময় হাসপাতাল চত্বর, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নারীসদস্যসহ এ দালাল চক্রকে আটক করে। যারা বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল।
অভিযানে আনুমানিক অর্ধশতাধিক দালালকে আটক করা হয়েছে। সবার নাম পরিচয় ও সার্বিক তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর নারী পুরুষ মিলে মোট ৩৩জনকে সর্বোচ্চ ৩ মাসসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ১৯জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ