ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১০টি গ্রামের আংশিক লোকজন রোজা পালন শেষে ইফতার শেষ করেছে।
শনিবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে মাহিদুল হকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কিছু লোকজনকে ইফতার করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের অনুসারী বেশ কিছু পরিবার একদিন আগেই রোজা ও ঈদ উদ্যাপন করে থাকেন। এসব গ্রামের লোকজন যার যার বাড়িতে ইফতার করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি ও আলফাডাঙ্গা ধলেরচর গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তারা আজ শনিবার রোজা রেখেছেন। সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করেছেন। আর এভাবেই একদিন আগেই অর্থাৎ সৌদি আরবে যেদিন ঈদ সেদিন ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদ্যাপন করে থাকেন।
উপজেলার কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক বলেন, আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই রোজা শুরু করেছি। আজকে প্রথম রোজার ইফতার শেষ করলাম। আমাদের এখানে যারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের অনুসারী তারা সকল পরিবারই আজকে রোজা ছিল।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুটি ঈদ উদ্যাপন করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এসএএইচ