ঢাকা: মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, তরুণরা তাদের কর্মচাঞ্চল্য, আবেগ এবং উদ্যোগ দিয়ে নতুন পৃথিবী গড়তে এবং বিশ্বজুড়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তিনি ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় ছিল তরুণদের অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন গেমস, বাংলাদেশি পোশাক, পাট ও চামড়াজাত পণ্যের প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, মেহেদি লাগানো, মাটির পাত্রে আলপনা, বাংলাদেশি শাড়ি-পাঞ্জাবি পরিধান, দেশাত্মবোধক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন এবং বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন। মিয়ানমারের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং দূতাবাস পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ২০০ তরুণ-তরুণী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার বক্তৃতার শুরুতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে পোশাক, সংস্কৃতি এবং খাবারে সাদৃশ্যের কথা তুলে ধরে বলেন যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান এই মিল দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।
ড. হোসেন বলেন, তরুণরাই পারে দুদেশের মানুষের মধ্যেকার বন্ধন জোরদার করতে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা, পর্যটনকেন্দ্র, মৃৎশিল্প, পাটশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক এবং রপ্তানিযোগ্য পোশাকের বেশ কয়েকটি স্টল প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের পোশাকের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য প্রদর্শন করে একটি পোশাক ট্রাই-অন বুথ নির্মিত হয়, যেখানে মিয়ানমারের তরুণরা বাংলাদেশি জামদানি শাড়ি এবং পাঞ্জাবি পরিধান করে। এছাড়াও, মেহেদী কর্নারে মায়ানমারের তরুণীরা বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী মেহেদীর রঙ্গে হাত রাঙায়। বাংলাদেশি প্রচলিত আল্পনার ডিজাইনে একটি ফটো ফ্রেম এবং ঐতিহ্যবাহী রিকশার আদলে ফ্রেম স্থাপন করা হয় যেখানে সবাই ছবি তোলে।
সাংস্কৃতিক পর্বে মিয়ানমারের তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশি ও বার্মিজ গানের সাথে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করে। দূতাবাস পরিবারের শিশু-সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী বাংলা গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন। আগত অতিথিদের জন্য বিরিয়ানি, সিঙ্গারা, পিয়াজু, পিঠা, মিষ্টি এবং বার্মিজ মিষ্টান্ন সহ বিভিন্ন ধরণের বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে একটি সুন্দর ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানটি মিয়ানমারের তরুণসমাজের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
টিআর/এমএম