ঢাকা: ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘জেনারেল কাসেম সোলাইমানি: ইসলামি উম্মাহর নিরাপত্তা রক্ষায় শহীদ' -শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পায়ের আহমেদ। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি, শিক্ষাবিদ, সমরবিদ, গবেষক ও সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পিস স্টাডিজের ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত আশরাফ আল দীন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মহিয়ুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী অমর সেনানায়ক জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হলেন একজন বীর মুজাহিদ এবং নিকট অতীতে আল্লাহর কাছে পৌঁছে যাওয়া একজন শহীদ; এমন এক বীর সেনানায়ক যার অমিত তেজ, সাহস ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রচণ্ড ভয় করতো সন্ত্রাসীরা। তিনি ছিলেন এই পৃথিবীর সম্পদ ও সম্মানের বিষয়ে নির্লোভ, একজন আপাদমস্তক সৈনিক, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মুসলমান। তিনি ছিলেন, দম্ভহীন সাধারণ সৈনিকের কাতারের মানুষ। কিন্তু তার নেতৃত্ব, প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রচণ্ড ভয় পেত ইসলামের দুশমনেরা! তার নাম শুনলে ওদের শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের শীতল প্রবাহ বয়ে যেতো; শুকিয়ে যেতো মুখ, ভীত শেয়ালের মতো লুকোবার গর্ত খুঁজতো তারা, আর তাই কাপুরুষের মতো যুদ্ধের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে চোরাগুপ্তা হামলায় তার হত্যা করে আল্লাহর এই সৈনিককে।
বক্তারা আরো বলেন, ভীরু কাপুরুষের মতো গুপ্ত হত্যাকারী ঘৃণ্য মানুষগুলো জেনারেল সোলাইমানিকে শহিদ করলেও পৃথিবীর কোনো ঈমানদার মুসলমান এই দুঃখকে হজম করতে পারবে না কোনো দিন। অগণিত কাসেম সোলাইমানি জন্ম নেবে দেশে দেশে যুগের পর যুগ মুসলমানদের ঘরে ঘরে, আর বিজয়ের পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাবে সম্মুখে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
টিআর/এমএম