ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চিরকুট লিখে ‘আত্মহত্যা’ করলেন সরকারি স্কুলের অফিস সহকারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
চিরকুট লিখে ‘আত্মহত্যা’ করলেন সরকারি স্কুলের অফিস সহকারী

কক্সবাজার: টেকনাফ উপজেলার খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নুরুর আলম (৩৪) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্মহননের আগে তিনি একটি চিরকুট লিখেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে স্কুলটিতে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত নুরুল আলম হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাছের পাড়ার আবু বক্করের ছেলে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের বরাতে ওসি গিয়াস বলেন, সকালে স্কুলে যেতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন নুরুল আলম। সকাল ৯টা পার হয়ে গেলেও তাকে স্কুলে না পেয়ে খোঁজ করেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্লাসে যেতে স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলা উঠে গ্রিলের দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে যায়। শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে তারা সেখানে গিয়ে কে আছেন বলে ডাকাডাকি শুরু করেন।

দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে তারা গেটের তালা ভাঙেন। দ্বিতীয় তলায় একটি শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে গলায় প্যাঁচানো অর্ধছেঁড়া রশিসহ রক্তাক্ত অবস্থায় নুরুল আলমকে দেখতে পান তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার পকেটে একটি চিরকুট পান পুলিশ সদস্যরা।

সেটিতে লেখা রয়েছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আমার স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ দায়ী নয়। শুধুমাত্র আমার চাকুরীতা (চাকরি করা) হচ্ছে, আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী– ইতি নুরুল আলম। ’

কী কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা- পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। তারা ধারণা করছে, সিলিংয়ের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নুরুল আত্মহত্যা করেছেন। পর্যায়ে রশিটি ছিঁড়ে গেলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন।

ওসি জানান, চিরকুটের লেখার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নুরুল আলমের লেখাগুলোর পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। হাতের লেখায় প্রাথমিকভাবে মিল পাওয়া গেছে। চিরকুটটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর বোঝা যাবে এটি নুরুল আলমের নিজ হাতে লেখা কি না।

চাকরির কথা চিরকুটে লেখা থাকলেও নুরুল পারিবারিকভাবে হতাশার কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ঘটনা কি ঘটেছিল, জানতে পুলিশ কাজ করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিহতের ছোট বোনের স্বামী ও স্থানীয় সংবাদকর্মী হুমায়ুন রশিদ বলেন, স্কুলের চাকরি, পারিবারিকভাবে নুরুল তেমন অনটনে ছিলেন না। স্থানীয় কারও সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি আত্মহত্যা করায় পরিবারের সদস্যরাও হতবাক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।