ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য র‍্যাবের হাতে আটক, অপহৃত উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য র‍্যাবের হাতে আটক, অপহৃত উদ্ধার আটক অপহরণকারীরা

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জনকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব ১১ এর মেজর অনাবিল ইমাম।

এর আগে ২০ অক্টোবর বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জন অপহরণকারীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।  

আটকরা হলেন- ইউনুস আলী (৩৪), মার্জিয়া বেগম (২৫), মো. হাসান (২২), মো. নাজমুল (২৮), জহিরুল ইসলাম (৩২)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার জিয়াপুর গ্রামের মো. মইনুল করিমের ছোট ছেলে মো. রাহিম (১৮) আনুমানিক দুই মাস আগে কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জ আসেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইউনুস আলী নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তারা একত্রে কৃষি কাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই মাস কাজের মজুরির জমা করা টাকাগুলো মো. রাহিম নিজের কাছে রাখলে ইউনুস আলী সেই টাকাগুলো দাবি করেন।  

মো. রাহিম দিতে না চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত ১৫ অক্টোবর রাতে মো. রাহিম তার জমানো টাকাগুলো নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য মদনপুর বাসস্ট্যান্ড যায়। একই তারিখ রাতে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উল্লেখিত অপহরণ চক্রের হোতা ইউনুসসহ আটকরা মো. রাহিমকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকার জন্য ইউনুস আলী মো. রাহিম এর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার বড় ভাই নাঈমকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আসতে বলে।

মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আটকরা মো. রাহিমকে মারধর করে। পরে মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় উপরে উল্লেখিত অপহরণকারীরা ভিকটিমের ভাইকে ফোনে ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই নাঈম সুনামগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে এ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরবর্তীতে অপহৃতের বড় ভাই নাঈম তার ছোট ভাইকে উদ্ধারসহ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির জন্য র‍্যাবের কাছে আবেদনসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত জিডির কপি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর রাতে র‍্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে হোতা ইউনুস আলীসহ ৫ জনকে আটক ও তাদের কাছ থেকে অপহৃত মো. রাহিমকে উদ্ধার করেন।

রাহিমকে উদ্ধারের পর তার বড় ভাই নাঈম বন্দর থানায় হাজির হয়ে নিজে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।