ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবহনের চাপ বাড়ছে মহাসড়কে, বাড়ছে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
পরিবহনের চাপ বাড়ছে মহাসড়কে, বাড়ছে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়

মাদারীপুর: ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। পদ্মা সেতু থাকায় নৌপথের ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী।

দূরপাল্লার পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে মহাসড়কে। রয়েছে মোটরসাইকেলের বাড়তি চাপও।  

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরে দেখা গেছে পরিবহনের বেশ চাপ সড়কে। দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি লোকাল বাসেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।  

এদিকে, মহাসড়কের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেমে বাড়ির উদ্দেশে যাওয়া ছোট যানবাহনে বেড়েছে ভাড়ার চাপ। ঢাকা থেকেও বাসে স্বাভাবিকের চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। ২০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ছোট যানবাহনে (থ্রি-হুইলার) ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

শনিবার এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা একের পর এক পরিবহন দ্রুত গতিতে ছুটছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী বাসগুলো এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী নামিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছে। এছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন কোনো যাত্রা বিরতি না দিয়েই বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এছাড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল প্রচুর দেখা যাচ্ছে মহাসড়কে। এদিকে ঢাকা অভিমুখে প্রায় যাত্রীশূন্য পরিবহন দ্রুত ছুটতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে ভাঙ্গা থেকে ঢাকার ভাড়া নামমাত্র নিচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান।  

ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া যাত্রী মো. হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক বাংলানিউজকে বলেন, এখন লোকজন সব বাড়িতে যাচ্ছে। ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী কম থাকায় পরিবহনে কম ভাড়া দিয়েও যাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকাও নিচ্ছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ফিরতে আবার দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ঢাকা থেকে শিবচরের উদ্দেশে আসা একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গুলিস্তান থেকে শিবচর আসতে ২০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। যাত্রীচাপকে পুঁজি করে প্রত্যেক ঈদেই এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে পরিবহনগুলো। ঢাকা থেকে আসা প্রায় সব পরিবহনেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এখন। মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। ফলে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা এবং পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজায় গাড়ির জটলা বেধে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে।  

ঢাকাগামী একাধিক পরিবহনের চালক বলেন, এখন সবাই বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে এসে তাদের নামিয়ে দিয়েই আবার ঢাকা ছুটছে গাড়ি। ঢাকা যাওয়ার পথে প্রায় খালি যেতে হচ্ছে। এজন্য ঢাকা থেকে যাত্রীদের ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। আর ঢাকা যাওয়ার সময় পদ্মা সেতুর টোল ভাড়া উঠলেই হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে এক্সপ্রেসওয়েতে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ তৎপরতা রয়েছে। পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে শিবচর অংশে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্বরত রয়েছে। অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশ টহলরত আছে। এছাড়া মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে স্বাভাবিক ভাবেই বেড়েছে পরিবহনের চাপ। এ সময় আমাদের পুলিশের টিম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছে। ঈদের পরেও ঢাকামুখী যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সার্বক্ষণিক মহাসড়কে রয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।