ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কোরবানির ৪ গরু লুট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কোরবানির ৪ গরু লুট

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক থামিয়ে দবির উদ্দিন (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে চারটি কোরবানির গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (০৮ জুন) রাত ১টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত দবির উদ্দিনের বাড়ি পাবনা জেলার ইশ্বরদি উপজেলার সারিকাজি গ্রামে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ট্রাকের চালক পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা মধুরাপুর গ্রামের মৃত মোতাহার আলীর ছেলে আব্দুল আলীম (৩২) ও চালকের সহকারী আনকুটিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান শিকদারের ছেলে স্বাধীন হোসেন (২০)।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউল আযম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ী শাজাহান কবির সাজু চারটি কোরবানির গরু বিক্রি করার জন্য ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের সামনে গেলে অপর একটি ট্রাক তাদের পথ রোধ করে। এসময় গরুবহনকারী ট্রাকটি পাশের রাস্তায় নামিয়ে দেন চালক। একপর্যায়ে কয়েকজন লোক ট্রাকে থাকা দবির উদ্দিন ও শাজাহান কবির সাজুর চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিস্তল ধরে রাখেন। এসময় দবির উদ্দিন আহত হন। একই সময় লুটকারীরা ট্রাক থেকে চারটি গরু নামিয়ে তাদের ট্রাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার সময় ট্রাকচালক ও সহকারী কিছুটা দূরে চলে যান। পরে তারা ট্রাক নিয়ে চলে গেলে দবির উদ্দিন তার মুখ দিয়ে হাতের বাঁধন খুলে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দবির ও সাজুকে উদ্ধার করে। পরে দবিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

ওসি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালক ও তার সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে লুট করা গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।  

এদিকে গরুর মালিক শাজাহান কবির সাজু বলেন, কোরবানি উপলক্ষে চারটি গরু ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এরপর পাবনার চাটমোহর উপজেলার চৌধুরীপাড়ার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিমুদ্দিনের ট্রাকে করে দবির উদ্দিনের মাধ্যমে শনিবার রাতে গরুগুলো ঢাকার হাটে নেওয়া হচ্ছিল। আমার ধারণা, ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার গরুগুলো উদ্ধার করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, কুববানি উপলক্ষে লাভের আশায় আমরা ঢাকায় গরু নিয়ে যাই। এভাবে যদি আমাদের গরু লুট হয়, তাহলে আমরা পথে বসে যাব। আমরা রাস্তায় নিরাপত্তা চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘন্টা, জুন ০৯, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।