ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৪৩ মণের ‘নাতিবাবু’ দেখতে জনতার ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৪
৪৩ মণের ‘নাতিবাবু’ দেখতে জনতার ভিড় ৪৩ মণ ওজনের ষাঁড় ‘নাতিবাবু’

সিরাজগঞ্জ: ছোট্ট বাছুরকে চার বছর ধরে লালনপালন করে বিশালাকৃতির ষাঁড়ে পরিণত করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঠান্ডু প্রামানিক। এখন ষাঁড়টির ওজন ৪৩ মণ।

 

নাতির মতো আদরে বড় করে তুলেছেন বলেই ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘নাতিবাবু’।  দানবাকৃতির ‘নাতিবাবু’ দেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে ধারণা স্থানীয়দের।

তাদের মতে, এরকম বড় গরু তারা এর আগে দেখেননি কেউ। তাইতো বিশালাকৃতির ষাঁড়টিকে একনজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ।

জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ঘোরশাল নতুনপাড়া গ্রামে কৃষক ঠান্ডু প্রামাণিকের খামারে বেড়ে উঠেছে ‘নাতিবাবু’ নামের ষাঁড়টি। এবারের ঈদুল আজহায় ষাঁড়টিকে বিক্রির কথা জানিয়েছেন ঠান্ডু। তারা দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।  

ইতোমধ্যে ‘নাতিবাবু’ আলোচনার শীর্ষে। সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও ছয়ফুট উঁচু হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান শংকর জাতের এই গরুটি নজর কেড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের।

ঠান্ডু প্রামাণিক জানান, চার বছর আগে শখের বসে ষাঁড়টি কেনেন তিনি। নিজের বাড়িতে ফার্ম করে সম্পূর্ণ দেশি খাবার, কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, খড়, সাইলেস ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে নাতিবাবুকে। বর্তমানে এর ওজন দাঁড়িয়েছে ৪৩ মণে।  

তিনি বলেন, নাতির মতো আদর করে ষাঁড়কে লালনপালন করেছি। এবার ঈদেই ছেড়ে দিতে হবে তাকে। তাই কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর ব্যাপারী এসে দেখে যাচ্ছেন গরুটি। ১৫ লাখ টাকা হলে বেচে দেব।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ নাতিবাবুর মতো বড় আকারের গরু পালনকারীদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।