ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে প্রেমিকার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে দেবজ্যোতি নাগ (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মনীষা রানী কুণ্ড (২০) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ গ্রামের বিনয় চন্দ্র কুণ্ডর মেয়ে।

অভিযুক্ত দেবজ্যোতি নাগ রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালা এলাকার দুলাল নাগের ছেলে। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বিনয় চন্দ্র কুণ্ড বলেন, রাজবাড়ী সরকারি কলেজে পড়ার সুবাদে দেবজ্যোতি নাগের সঙ্গে দুই বছর আগে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের জেরে আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় তিনি আমার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং কৌশলে নিজের মোবাইলে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বললে দেবজ্যোতি নাগ আজ কাল বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে গত ২৫ জানুয়ারি দেবজ্যোতি ভারত চলে যায়। আমার মেয়ে তার বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। তাড়িয়ে দেওয়ার সময় তারা আমার মেয়েকে দেবজ্যোতিকে ভুলে যেতে বলে, নাহলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলে।

চন্দ্র কুণ্ড বলেন, আমার মেয়ে কেন তার বাড়িতে গেল; এ নিয়ে দেবজ্যোতি গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আমার মেয়েকে ফোন করে গালিগালাজ করেন এবং আবারও অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলে। আমার মেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে রাজবাড়ী থেকে ট্রেনে উঠে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে তার দুই হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মেয়ের চিকিৎসার ব্যস্ততা শেষে আমি এ বিষয়ে মামলা করতে চাইলে দেবজ্যোতি নাগ আমাকে মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেন। এখনও পর্যন্ত তিনি আমাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। তারপরও আমি আমার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি আমি ও আমার মেয়ে ন্যায় বিচার পাব।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত দেবজ্যোতি নাগের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।