ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে মজনু হত্যা মামলায় শাহাজ উদ্দিন সাতদিন নামে একজনের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাজ উদ্দিন ওরফে সাতদিন জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসূতি গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় অপর আসামি রহিমা বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ আগস্ট পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসূতি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মজনু ইসলামকে ধরলা নদী থেকে পাথর তোলাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার শাহাজ উদ্দিন লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত মজনু প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসমি শাহাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার অপর আসামি রহিমা বেগমকে খালাস দেন আদালত। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

নিহতের ভাই মজিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে পাথর তোলাকে কেন্দ্র করে রড দিয়ে মাথায় পিটিয়ে আমার ভাই মজনুকে হত্যা করেছে শাহাজ উদ্দিন। দীর্ঘদিন পর আজ আদালত রায় দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

লালমনিরহাট জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামি শাহাজের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।