ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে মায়ের হত্যার বিচার চাইলো দুই শিশু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
মাদারীপুরে মায়ের হত্যার বিচার চাইলো দুই শিশু

মাদারীপুর: মা ঈশিতা আলী হত্যার বিচার চাইলো দুই শিশু মরিয়ম (১০) এবং রাইয়ান (৮)।

রোববার (১২ মে) দুপুরে হত্যা মামলার আসামিদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছে তারা।

এসময় মায়ের কথা বলতেই কাঁদতে শুরু করে দুই শিশু সন্তান।  

সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ঈশিতা আলীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর, সাব্বির মাতুব্বর এবং নিহতের দুই শিশু সন্তান মরিয়ম ও রাইয়ার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ঈশিতা আলীর সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের এনামুল ঢালীর। এর কয়েক বছর পর ভাশুর টুকু ঢালী, ভাসুরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয় ঈশিতার। এর জেরে ২০ এপ্রিল টুকু ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্তঃসত্ত্বা ঈশিতাকে নির্যাতন করে। পরে রাতেই মারা যান ঈশিতা।

ঈশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় আমি  মামলা করলেও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। আমি এর বিচার চাই।

নিহতের আরেক ভাই সাব্বির বলেন, আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। এপরও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। মামলার তদন্তকর্মকর্তা আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

নিহতের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমার চাচা টুকু ঢালী আমার মাকে মারধর করেছে। পরে মা মারা গেছেন। আমি মায়ের হত্যার বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিব বলেন, নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।