ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন!

ফেনী: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিআরআরআই)। তারই ধারাবাহিকতায় পুষ্টি সমৃদ্ধ নতুন জাতের একটি ধানের জাত উদ্ভাবন করে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

যে ধান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী। ধানের জিআই মান ৫৫।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এ বিশেষ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ফেনীর সোনাগাজীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। চাষাবাদ হয়েছে ফেনীর সোনাগাজীর চর চান্দিয়ার এক কৃষকের জমিতে। নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-১০৫ ডায়াবেটিক চাল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এরই মধ্যে জাতীয় বীজ বোর্ড ধানটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য চালটিকে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবী করছে প্রতিষ্ঠানটি। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা বলছেন এ ধানটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআইসম্পন্ন হওয়ার কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক চাল’ বলা হচ্ছে। এ ধানে কার্বো হাইড্রেটের পরিমাণও কম।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, সোনাগাজীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত ছাটাইকৃত চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার আমাদের দেশে মাড় ফেলে ভাত খাওয়ার কারণে এমনি পুষ্টি কম পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ব্রি ধান ১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে। কারণ, এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি জিআই অনেক কম। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুটি জাতের চাষ ও ফলন পরীক্ষা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। ধানটির ফলন দেখতে ও কৃষকদের সাথে কথা বলতে মাঠ পরিদর্শন করেছে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। এসময় ধানের ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

কিছুটা চিকন ও লম্বা জাতের এ ধানের বীজবপন থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত ১৪৮ দিন সময় লাগতে পারে। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ০৬ টন ধান উৎপাদন সম্ভব। বোরো মৌসুমের অনুকূল পরিবেশে ধানটির ফলন ভালো হবে। চলতি বোরো মৌসুমে ধানটি পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ করে আশাবাদী ফেনীর সোনাগাজী চরচান্দিয়ার সাধারণ কৃষকরাও।

এছাড়াও ব্রি ধান ১০১, ১০২, ১০৪, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ধান ০৮ নামের আরও কয়েকটি লবণ সহিষ্ণু ও উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। ধানগুলোর উদ্ভাবন উপলক্ষে সোনাগাজীর আঞ্চলিক কার্যালয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সোনাগাজী উপজেলার আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহিনা আক্তার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কৃষক আবু সাঈদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
এসএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।